Advertisement


মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বনিক সংবর্ধিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বনিক বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক আইজিপি পদক পাওয়ায় ও এএসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন মহেশখালী থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। ৩০ শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় মহেশখালী থানা মিলনায়তনে থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত নাজমুল হক কামাল এর সভাপতিত্বে এক সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে সংবর্ধিত অতিথির উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বিভীষণ কান্তি দাশ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান বিএ, সদ্য ৩৫তম বিসিএস প্রশাসনের নিয়োগ প্রাপ্ত মহেশখালীর কুতুবজোমের সন্তান শামীম তানবির, সংবর্ধিত অতিথি এএসপি বাবুল চন্দ্র বনিক, মহেশখালী কলেজের অধ্যাপক আশিষ চক্রবর্তী ও এস আই হারুন রশিদের পরিচালনায় সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এম.জাকারিয়া, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছালেহ আহাম্মদ,উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মস্তক আহাম্মদ, এসআই-বোরহান উদ্দিন, এএসআই-অশোক হাওলাদার,মহেশখালী রাখাইন নেতা ক্যাচিং, এডভোকেট আবুতালেব, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মাষ্টার ব্রজ গোপাল ঘোষ, সেক্রেটারি প্রণব কুমার দে,মহেশখালী সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব রোকন, প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর পারভেজ, কনেস্টবল সুকান্ত দে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন প্রমুখ। মহেশখালী থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের পক্ষথেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত: পুলিশ বাহিনীতে আই.জি.পি ব্যাজ প্রাপ্ত ও সদ্য সহকারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত বাবুল চন্দ্র বনিকের কর্মময় জীবনে তিনি ১৯৮৯ সনে সরাসরি এসআই হিসাবে সারদা পুলিশ একাডেমীতে যোগদান শুরু করেন। ১৯৯০ সাল থেকে পর্যন্ত বরগুনা জেলায় প্রথম চাকুরী বরগুনা সদর থানায় সেকেন্ড অফিসার এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে প্রথম ওসি -ফকিরহাট থানা, জেলা-বাগেরহাট এর দায়িত্বে ছিলেন , এসআই পদে পদোন্নতির পূর্বে। অতঃপর ২০০৫ সালে অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ওসি-বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা, ওসি-ফেনী হাইওয়ে থানা, ওসি-হাতিয়া থানা,নোয়াখালী, ওসি-পাহাড়তলী থানা,সিএমপি,চট্টগ্রাম, ওসি-চাঁন্দগাও থানা,সিএমপি ,চট্টগ্রাম,ওসি বায়েজীদ বোস্তামী থানা,সিএমপি চট্টগ্রাম,ওসি-মহেশখালী থানা,কক্সবাজার এবং বিভিন্ন সময়ে জেলা ও মহানগরী গোয়েন্দা শাখায় নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এসআই হিসাবে ১৯৯৩-৯৪ সালে চাঁদপুর জেলার সদর থানা । ১৯৯৫-৯৬সালে সিএমপি কোতয়ালী থানা। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ পযর্ন্ত সালে সময়ে হবিগঞ্জে জেলায় বিভিন্ন ইউনিটে । ২০০১ হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ২০০৪ সালে বাগেরহাট জেলায় নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ২৬ বৎসর এর অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে মাঠে থেকে সাহসিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

চাকুরী জীবনে স্মরণীয় ঘটনার একটি ডাকাত সহ খুন মামলায় অপরাধীর ফাঁসীর আদেশ হয়।একটি হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম শহরে অপরাধী(মহিলার) যাবৎকীবন কারাদণ্ড সহ অসংখ্য মামলা সঠিক অদন্তের ফলে অপরাধীর সাজা হয় মর্মে তিনি জানান ।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ০৩ (তিন) কন্যা সন্তানের পিতা। মহেশখালীতে যোগদান করে পৌরসভা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সঠিক ও রাত দিন প্রতিটি এলাকা সম্পূর্ণ ধারনা নিয়ে ১মাসের মাথায় একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেন। তাহার কর্মময় জীবনে ২০১১ সালে একবার পি.পি এম পদকের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করেন। সেই সময়ে না হলে ও ২০১৬ সালে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য আই জি.পি.ব্যাজ প্রাপ্ত হন। এবং একই সালে ২৬/০১/১৭ইং তারিখ ইন্সপেক্টর হতে এ.এস.পি পদে পদোন্নতি লাভ করেন। মহেশখালী বাসী তাহার উত্তর উত্তর কামনা করেন।