Advertisement


মহেশখালী দিঘীতে লুটপাট


আবুল বশর পারভেজ 
কক্সবাজার জেলার অন্যতম অর্থনৈতিক আলোচিত উপজেলা মহেশখালী। এই উপজেলায় কিছু কিছু সরকারী সম্পদ অাছে যা সঠিক পরিকল্পনার অভাবে গুটি কয়েক ব্যক্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান প্রতিবছর সিন্ডিকেট করে লোপাট করে থাকে। কারনে অকারনে সরকারের প্রশাসন এ সব সম্পদের যথাযত ব্যবহারে তথ বেশী উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে না। নাম মাত্র নিলাম হয় অর্থের কোন সঠিক ব্যবহারের পরিকল্পনা হয় না।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপজেলা পরিষদের বাবুর দিঘী। সুষ্ঠু উন্নয়ন কাজে এ দীঘির অায় ব্যয় কোন হদিস নেই। এত বড় দীঘি বাংলাদেশের অন্য কোন উপজেলায় থাকলে তা পর্যটন শিল্পের দর্শনীয় স্থানে পরিনত হত। তৎকালিন জমিদার অজিত বাবু স্থানীয় প্রজাদের ব্যবহারের জন্য দিঘী খনন করেন। মহেশখালীতে হয়েছে স্বনামে বে নামে হরিলুটের খনি!

পোনা ছাড়বে সরকার অার তা ঝাকি জাল,কোমজাল,গিরাজাল, টানাজাল টেনে নিয়ে যাবে বড় বড় নেতা নামের রাগব বোয়ালরা। সরকারের কোন উর্ধতন কর্মকর্তা দীঘিটির উন্নয়নে কাজ করেনি।তারা মহেশখালীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ দিঘীর বড় মাছ দেখলে কলা কৌশলে স্থানীয় সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজসে একাকার হয়ে যায়। বিগত কয়েক বছর ধরে দিঘীটিতে বড়শী দিয়ে মাছ শিকারের নামে নামসর্বস্থ নিলাম দেখানো হলেও এটাকা উপজেলা পরিষদের কোন খাতে ব্যবহার হয় তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই বলে মনে করেন সচেতন মহল।

কয়েক ব্যক্তির নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মহেশখালীর বাবুর দিঘী যাতে সরকারীভাবে মৎস্য চাষের জন্য বা পর্যটন কাজে ব্যবহার না হয় তার মিশন বাস্তবায় করতে পরস্পর বিরোধীবংশ,গোষ্টি, রাজনৈতিক পরিবার এক হয়। দিঘীর মাছ লোটপাট করতে একেকটি গ্রুপ কয়েকজন পেশাদার,দক্ষ,চুরিকাজে পারদর্শী ব্যক্তিকে পকেটের অর্থ দিয়ে লালন পালন করে।তারা রাতের অাধারে দীঘিতে মাছ চুরি করে সংশ্লিষ্ট বড় কর্তাদের,নেতাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়। বড় কর্তাগণ বাবুর দিঘীর মাছের লোভ রাকতে না পেরে গোপনে অাতাত হয়ে যায়। সময়ে সময়ে মাছ চুরের পক্ষে এলাকার দরিদ্র মানুষ অামিষের ঘাটতি পূরনে যা পায় তা খাওয়ার কথা বলে উৎসাহিত করে।বড়শী সমিতি, দীঘি সংরক্ষণ সমিতি,দীঘি উন্নয়ন নামে গ্রুপ তৈরী তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিমত করে দীঘির দক্ষিন,পূর্ব,উত্তর পাড়ে একেক গ্রুপ টর্স লাইট জ্বালিয় পাহারা দেওয়ার ফন্দি করে গভীর রাত হলে সিন্ডিকেটর সদস্যরা জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। পশ্চিম পাড়ে কয়েকজন সরকারী কর্মচারী চোরের দলের বিরুদ্ধে পাহারা বসায় সুযোগ হলে ভাগ বসায় না হয় দূর্বল চোরদের শায়েস্তা করে চড় তাপ্পড় দিয়ে জাল, জুতা,ডুলা টর্সলাইট কেডে নেয়।

সবল/প্রভাবশালী চোরদের জাল মারতে দেখলে সরকারী কর্মচারীরা সালাম দেয়।লিডার কি খবর বদ্ধা,বস কেন অাচন বলে কুর্নিশ করে। মহেশখালীর দিঘীর মাছ লোটপাটের দলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা,প্রভাবশালী অর্থবিত্তশালী পরিবারের সন্তান,ব্যবসায়ী,অাইনজীবি,সাংবাদিক,মহুরী,শিক্ষক,সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কমর্মচারী,গাড়ীর ড্রাইভার, পল্লী চিকিৎসকরা অাছেন। মহেশখালী দিঘীর মাছ যেন বেওয়ারিশ মানুষের লাওয়ারিশ সম্পত্তি। ভাগবাটোয়ারায় মিল না হলে কয়েক গ্রুপে মারমূখি অবস্থান নেয়।

জনসম্মূখে প্রকাশ্য স্বল্প মেয়াদে বা দীর্ঘ মেয়াদে লীজ বা নিলামের ব্যবস্থা করে প্রতি বছরের রাজস্ব থেকে ঐতিহ্য বাহী এ দীঘি কে দৃষ্টি নন্দন পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা যাবে।দীঘির চার পাশে শিশু পার্ক,ভাসমান ক্যন্টিন,নানা রং এর নৌকা ভাসিয়ে পর্যটকদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা অায় করা সম্ভব হবে। প্রতি বছর একটি করে গাইডওয়াল তৈরী করলে দীঘিরপাড় ভাঙ্গন রোধকরা যেত।অপরিকল্পিত অব্যবস্থাপনার কারনে উন্নয়ন ও পর্যটন সম্ভাবনাময় দিঘীটি এখন মাছ চোরের অাখড়ায় পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী,কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক দীঘির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি নীতিমালা তৈরী করে মহেশখালী দীঘি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার প্লান করার দাবী জানান।