Advertisement


জনগণের জন্য এবার কঠোর হলেন এমপি আশেক!



মহেশখালীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজন ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে মহেশখালী উপজেলায় নির্মিতব্য বন্দর ও বন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত এক সভা গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেছেন -গত দিনগুলোর অভিজ্ঞতা বলছে মহেশখালীর উন্নয়ন কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় মানুষদের কাছে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কার্যতঃ এসব কথার বাস্তবায়ন দেখতে পায়নি স্থানীয় জনসাধরণ। তাই আগামীতে উন্নয়ন কাজগুলোর আগে স্থানীয় স্বার্থ বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু আশ্বাস নয়, কথা ও কাজে মিল রেখে স্থানীয় নাগরিকদের স্বার্থ বিবেচনায় আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসান মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান হোছাইন ইব্রাহীম, মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী, পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. নুরুল আমিন, এম.আজিজুর রহমানসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাপানের উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। সভায় পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী ক্ষুব্দতা প্রকাশ করে বলেন -বারবার এধরণের সভা ডেকে নানা মধুর কথা শুনিয়ে সর্বমহলের লোকজনের স্বাক্ষর আদায় করে নেওয়া হয়। সভার পর মূলতঃ কজের কাজ কিছুই হয় না। সভায় উত্তাপিত হওয়া বক্তব্যগুলো উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে জমা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই ভাবে এসব উন্নয়ন কর্মকা-ের বিষয়ে ধোয়াশা না রেখে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তা প্রকাশের দাবী জানানো হয়। এ লক্ষে আগামীতে প্রকল্প সংক্রান্ত সভাগুলো জেলায় না হয়ে মহেশখালীতে করার জন্য দাবী জানানো হয়। 

প্রসঙ্গতঃ মহেশখালীতে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত আলোচনার জন্য এই বিশেষ সভার আহ্বান করা হয়। জাপানি সংস্থা জাইকার সহায়তায় মহেশখালীতে মহেশখালীতে একটি বন্দর স্থাপন ও বন্দরের সাথে সংযোগ সড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন সরকার। এখানে বন্দর অংশ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংযোগ সড়ক অংশ দেখাশোনা করবেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ।