Advertisement


শিক্ষার্থীদের বেদনা বুঝলেন ড.আনচারুল করিম

ছাত্রলীগের বদান্যতায় উচ্চ শিক্ষার নির্ভরতা পেলো দু’কৃতি শিক্ষার্থী

মহেশখালী উপজেলার দু’কৃতি শিক্ষার্থী আকাশ কান্তি দে ও জান্নাতুল ফেরদৌস। জিপিএ-৫ পেয়ে এইচ এসএসসি পাশ করেছে তারা। নানা কষ্ট আর অভাবকে ডিঙিয়ে শিক্ষা জীবনের প্রথম সিঁড়িটা পার হয়ে এবার আরো উচ্চ সোপানের যাত্রা। কিন্তুউচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে খরচও বাড়বে। এই নিয়ে যত দুশ্চিন্তা পরিবার ও তাদের। কারণ এত খরচ জোগানোর সম্ভল নেই তাদের দরিদ্র পরিবারের! তবে এখন তারা নির্ভার। তাদের এই নির্ভরতার প্রতীক হলো এলো মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগ। পৌর ছাত্রলীগের কান্ডারি মিফতাহুল করিম বাবুর এক মহতী উদ্যেগের মাধ্যমে দু’কৃতি শিক্ষার্থী খুঁলে পেলো নির্ভরতার ঠিকানা! তাদের জন্য এগিয়ে এলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আনচারুল করিম। তিনি দু’কৃতি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন।

মিফতাহুল করিম বাবু জানান, ২৫ আগস্ট পুরো উপজেলার এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্প্রতি সংবর্ধণার আয়োজন করে মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগ। সেখানে ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও নগদ অর্থ তুলে দেন ড. আনচারুল করিম। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে নিজেদের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে আকাশ কান্তি দে ও জান্নাতুল ফেরদৌস। অর্থের অভাবে তাদের উচ্চ শিক্ষার প্রতিবন্ধকতার কথাও বলে তারা। তাদের জীবন সংগ্রামের গল্প শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. আনচারুল করিম। তিনি ওই অনুষ্ঠানে দু’কৃতি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করার ঘোষণা দেন। এতে দু’শিক্ষার্থী আবেগাপ্লুত হয়ে আনন্দিত হয়ে উঠেন।

আকাশ কান্তি দে ও জান্নাতুল ফেরদৌস বলে, ‘অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে এসএসসি পাশ করেছি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আমরা বড়ই দুশ্চিন্ততায় ছিলাম। ছাত্রলীগের এক মহতী উদ্যোগে আমাদের ভাগ্যটা প্রসন্ন হলো। ছাত্রলীগের আয়োজন করা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা নিজেদের কথা বলতে পেরেছি। আমাদের কথা জানতে পেরে ড. আনচারুল করিম স্যার আমাদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নিলেন। এতে আমরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারবো। এই জন্য আমরা ছাত্রলীগ ও ড. আনচারুল করিম স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন সম্পাদক ও মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিফতাহুল করিম বাবু বলেন, ‘ছাত্রলীগ সব সময় ভালো কাজের সাথে রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে সব ভালো ছাত্রলীগ সব সময় ভালো উদ্যোগ নেয়। মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের নেত্রীবৃন্দরা মহেশখালী ছাত্র পরিষদের ব্যানারে আমরা কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনার আয়োজন করি। সেখানে কষ্টের কথা জানতে পেরে দু’কৃতি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন ড. আনসারুল করিম। এতে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ তার কাছে। একটা মাধ্যম হতে পেরে আমরাও নিজেদের ধন্য মনে করছি।’