Advertisement


মাতারবাড়িতে খোলা আকাশের নিচে একটি গৃহহীন পরিবার, সরকারি প্রকল্পের ১৫০ ঘরের নিমার্ণ কাজ বন্ধ


হোবাইব সজিব।। মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নে যার জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ১৫০ গৃহহীন পরিবারের ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে এক বছর ধরে। ফলে মাথা গোজার ঠাঁই হচ্ছেনা ওই সব পরিবারের সদস্যদের । জানাগেছে,গত বছরের জুনে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ঘরের বরাদ্দ পান হতভাগা অনেক পরিবার। দুঃখ ঘুচে যাওয়ার আশায় দিন গোনে অনেকে। কিন্তু এখনো নতুন ঘর নিমার্ণ কাজ শেষ হয়নি। বরাদ্দের অভাবে এসব নিমার্ণকাজ বন্ধ হয়ে আছে।

স্থানিয় লোকজন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে গত বছর জুনে ১৫০ টি ঘর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল মাতারবাড়ীতে। এতে স্থানিয় চেয়ারম্যান প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করে ১২০ টি নতুন ঘরের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ করে। প্রায় ২৫ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে বাকি নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভাব হয়নি।

উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ষাইটপাড়ার বাসিন্দা লেদু মিয়া নতুন ঘর পেলেও মধ্যেখানে নিমার্ণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তার  মতো অবস্থা একই ইউনিয়নের ১৫০ গৃহহীন পরিবারের। প্রধাননমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয় প্রকল্প -২- এর যার  'জমি আছে,  ঘর নাই' প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘরের বরাদ্দ পায় অসহায় পরিবার গুলি। 

নাজুক অবস্থা ষাইটপাড়ার আরেক বাসিন্দা ফেরদৌস বেগমের ভিটায়ও। তিনি বলেন,অর্ধেক কাজ শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে রাত কাটছে বেশ কষ্টে। বৃষ্টি হলে পাশের অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয়। যেন দুঃখ কষ্ট পিছু ছাড়ছেনা। তিনি আরও বলেন,স্থানিয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ উল্লাহ আমাদের কথা চিন্তা করে তার আন্তরিকতায় নির্মাণকাজ শেষ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে। 

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে গত বছর জুনে ১৫০ টি ঘর নির্মাণকাজ শুরু করেছিলাম। এতে আমি নিজেই প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করে ১২০ টি নতুন ঘরের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়েছে ২৫ শতাংশের মতো। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভাব হয়নি। এখন এক বছর ধরে ঝুলে আছে ১৫০ টি ঘরের নিমার্ণকাজ।  জরুরি ভিত্তিতে ঘর নিমার্ণ শেষ না করলে, বর্ষায় এসব পরিবার কষ্ট পড়বে।' তাছাড়া এসব পরিবারের দুর্বিসহ কষ্ট দেখলে নিজের খুবই দুঃখ লাগে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানায়,২০১৭-১৮ অর্থ বছরের  প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয় প্রকল্প-২- এর 'যার জমি আছে ঘর নাই' প্রকল্পের আওতায় ৪৯৫টি ঘর নিমার্ণের উদ্যাগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। একেকটি ঘরের পেছনে ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ টাকা। সাড়ে ১৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১০ ফুট প্রস্থেরর ঢেউটিনের এক কক্ষেরর ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঢেউটিনের এক কক্ষেরর ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার।রর ঢেউটিনের এক কক্ষেরর ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঢেউটিনের এক কক্ষেরর ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার।রর ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার। ঘরের সামনে রয়েছে ৫ ফুটের বারান্দা। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে একটি করে শৌচাগার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম সাকিব বলেন, ৪৯৫ টির মধ্যে ৩০০টি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়। বাকি ১৯৫ টি ঘর নিমার্ণের জন্য কোনো বরাদ্দ মেলেনি।  এর মধ্যে মাতারবাড়ীর ১৫০টি ঘরও রয়েছে। এদিকে বরাদ্দ পাবে এই আশায় গত বছরের জুনে মাতারবাড়ী ইউনিয়নে ১৫০ টি ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ উল্লাহ। এসব ঘর নিমার্ণের বরাদ্দ পেতে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি বরাদ্দ শিঘ্রই হাতে আসবে।