Advertisement


সাংবাদিকতার আড়ালে থাকা মহেশখালীর এক জামায়াত-শিবির কর্মী আটক ::

কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারে সাংবাদিকতার আড়ালে গোপনে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের একজন ‘আন্ডার ওয়ার্ল্ড সক্রিয় কর্মী’কে আটক করেছে। আজ শুক্রবার ভোর রাতে কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যম বাহারছড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

পুলিশ আটক জামায়াত-শিবির কর্মীর নিকট থেকে ১০টি গরুও উদ্ধার করেছে। এসব গরু জঙ্গি অর্থায়নে ক্রয় করা হয়েছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। গরুগুলো কক্সবাজার পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক জামায়াত-শিবির কর্মীর নাম আবু সাদাত নূহ (৩০)। 

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের গোরকঘাটার বাসিন্দা মোহাম্মদ ঈশার ছেলে তিনি। তাকে আটকের পর থেকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন লোকজন কৌশলে কক্সবাজারের পুলিশের কাছে তদবির করছে তাকে ছাড়িয়ে নিতে।

কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আবু সাদাত নামের এই যুবক মহেশখালী দ্বীপের বাসিন্দা পরিচয়ে কক্সবাজার শহরে গত কয়েক বছর আগে অবস্থান নেয়। তিনি প্রথমে কক্সবাজার শহরের পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে কাজও করছেন। এরপর তিনি সাংবাদিক হিসাবে কাজ শুরু করেন। 

ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকার আমাদের কণ্ঠ নামের আন্ডার ওয়ার্ল্ড পত্রিকার কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও ‘সিএনএ’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসাবে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। কক্সবাজার শহরের প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কৌশলে তার উঠাবসা সব সময়। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিক পরিচয়ে আগের কাতারে বসে আসছিলেন তিনি। এমনকি আটক আবু সাদাত সহপাটিদের জন্য দেদারসে খরচও করেন। তার চালচলনেও নানা রহস্যে ঘেরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন- কক্সবাজার পুলিশের কাছে গোপন খবর রয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরে আবু সাদাত চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান নিয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জামায়াত নেতা সাঈদীসহ যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে জামায়াতের আন্দোলনসহ পেট্রল বোমার ঘটনার পর তিনি গা ঢাকা দেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার শহরে সাংবাদিকতা ও পরিবেশকর্মী পরিচয়ে গোপন কাজ করতে থাকেন।

পুলিশ সুপার বলেন, কোরবানের বাজার থেকে তিনি একা ১০টি গরু নেওয়ার টাকার উৎস খুঁজতে গিয়েই তার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে। আটক হওয়া আবু সাদাত নূহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সাংবাদিকতার আড়ালে সন্দেহজনক কাজে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।