Advertisement


এলএ অফিসের দালাল মহেশখালীর সেলিম দুদকের হাতে আটক ::

মহেশখালীল শাপলাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার চিহ্নিত দালাল। এ দালালকে বিভিন্ন লোক থেকে ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকার চেক ও ঘুষ লেনদেনের ডায়েরি সহ আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের লালদিঘির পাড়স্থ হোটেল ইডেন গার্ডেনের নিজস্ব অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
 
দালাল সেলিম উল্লাহ মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরের হাবিবুর রহমানের ছেলে। আটকের সময় তার অফিস থেকে ৬২ লাখ ৬২ হাজার টাকার ৩৪ টি মূল চেক ও ঘুষ লেনদেন হিসাবের অনেক ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে।

ঘুষের ৯৩ লাখ টাকাসহ সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিম (৪৫) আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুদকের মামলায় সেলিম উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন।

তিনি জানান, জমি অধিগ্রহণে ঘুষ লেনদেনে সেলিম উল্লাহর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সেই প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে আরো যাদের ঘুষ লেনদেনে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পৃথক অভিযান চালিয়ে ঘুষের ৯৩ লাখ টাকাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিম (৪৫)কে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-১৫) সদস্যরা। 

এসময় নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‍্যাবের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে অপর দুই সার্ভেয়ার ফরিদ ও ফেরদৌস পালিয়ে যায়।
কক্সবাজারে মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সরকারের বেশ কয়েকটি মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও চলমান। এ ভূমি অধিগ্রহণকে ঘিরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র জমির মালিকদের নানাভাবে জিম্মি করে বড় অংকের কমিশন বাণিজ্য করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন জমির মালিক র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।