
জানাগেছে -সরকারের দেয়া বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সোলার স্ট্রিট লাইটের আলোয় আলোকিত হয়েছে দ্বীপের হাট-বাজার ও অতিপ্রয়োজনীয় রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা সমুহ। এতে প্রচলিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত থাকে দ্বীপাঞ্চলের এ সব এলাকা।
অপরদিকে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক দূরদর্শিতায় সৌরবিদ্যুতের আলোয় নতুন ভাবে আলোকিত হয়ে উঠলো মহেশখালীর দ্বীতিয় প্রধান সড়ক পাহাড়ি শাপলাপুর সড়কটিও।
সূত্র জানায় -সরকারের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের টিআর-কাবিটার নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সোলার বরাদ্দ হতে এ আসনের এমপি মহেশখালী সদর থেকে শাপলাপুরগামী সড়কের দুইপাশে মোট-৪৬টি সোলার স্ট্রীট লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মোট-২৫,৯৮,৫৪০
টাকার সোলার বরাদ্দ দেন আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে এরইমধ্যে এ সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই ঝোপজঙ্গলে ঘেরা এ সড়কটির দু'পাশে জ্বলে উঠছে সৌরবাতির আলো। দীর্ঘদিন পর হলেও সরকার তথা স্থানীয় এমপির এমন জনমুখি উদ্যোগে স্বস্তি ফিরেছে এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মাঝে। এক সময়ের ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে আলোকিত হয়ে ওঠায় সন্ধ্যার পর আগের তুলনায় বহুলাংশে বেড়েছে সড়কটির ব্যবহার। মানুষজন ও গাড়িচালকরা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছে সড়কটি। সোলার স্ট্রীট লাইটের আলোয় আলোকিত হওয়ায় এ সড়কে জননিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে টিআর-কাবিটা হতে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সোলার, পৌরসভা সোলার ও উপজেলা পরিষদ সাধারন সোলার খাত হতে মহেশখালীতে মোট- ২,১৫,০১,৯৫২ টাকা মুল্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সোলার প্যানেল স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আলাপকালে শাপলাপুর সড়ক ব্যবহারকারী একাধিক যাত্রী ও ড্রাইভার জনমুখী প্রকল্প গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও এলাকার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।