এম.এনামুল।।
মহেশখালী উপজেলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ চালকদের হাতে ইজিবাইক স্টিয়ারিং এবং বেপরোয়া গতির গাড়ি চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।
মহেশখালীর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সবসময় ইজিবাইকের দুর্ঘটনার আতঙ্কে পথ চলতে হয় বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলছে টমটমের দুর্ঘটনা।
গত ১৭ তারিখ কালামার ছড়া ইউনিয়নের নুনাছড়িতে বেপরোয়া ইজিবাইক চালাতে গিয়ে একটি ৬ বছরের শিশু ইজিবাইক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
সরজমিনে দেখা যায়,মহেশখালীর উপজেলার বড় মহেশখালী নতুনবাজার,গোরাকঘাটা বাজার,লম্বাঘোনা বাজার,শাপলাপুর বাজার, হোয়ানক বাজার সহ ইজিবাইক গাড়ির ড্রাইভার দেখা যায় প্রায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এবং তাদের অদক্ষতার কারণে যত্রতত্র সারি বেঁধে ইজিবাইক রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
প্রায় গাড়ির স্ট্যান্ডে বেশিরভাগ ইজিবাইক চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক । ১২/১৩বছরের কম বয়সী কিশোরদেরকে দিয়ে চালানো হয় ইজিবাইক। ইজিবাইক চালকদের মধ্যে কেউ কৃষি শ্রমিক কিংবা পূর্বে রং মিস্ত্রি,কেউ লবণের মাঠ কর্মী,কেউ পূর্বে ভ্যান চালাতো, কেউ পানের বরজে কাজ করে ইত্যাদি।
শতকরা ৯৫ ভাগ চালক জানে না কিভাবে ইজিবাইক চালাতে হয়। যার ফলে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
বড় মহেশখালী সড়কে ইজিবাইক চালক মনজুর আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ০২ বছর যাবত ইজিবাইক চালাই, আমার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। আমি সবসময় দেখে শুনে সতর্কতার সাথে গাড়ি চালাই। আমার গাড়ির সামনে এঙ্গেল লাগিয়েছি গাড়ির নিরাপত্তার জন্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক আর অদক্ষ চালকরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে আমাদের গাড়ির সাথে গাড়ি লাগিয়ে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের চরম ক্ষতি করছে তারা।এই বিষয়ে তাদের সাথে কথা বল্লে আমাদের সাথে বিয়াদবি করে বসে থাকে যার কারণে আমরা তাদের সাথে এই বিষয়ে তর্কে জড়াতে চাইনা।
ইজিবাইক চালক শিশু শাহিন নিকট জানতে চাইলে সে জানায়, আমি গাড়ি চালাই পেটের দায়ে। আমার বাবা অসুস্থ, আমি গাড়ি না চালালে সংসার চলে না।
অন্য এক শিশু চালক থেকে জানতে চাইলে তিনি জানায়, পরিবারে বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দায়ভার নিজের উপর পড়েছে।ছোট ছেলে বলে কেউ দৈনিক কাজে নিতে চাইনা তাই টমটম চালাতে বাধ্য হয়।
সরকার যদি আমাদের অন্য কোনো পেশার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমাদের মত যারা শিশু গাড়ি চালক আছে তাদের জন্য একটা কর্মস্থল হবে।