Advertisement


মহেশখালীতে ঘরজামাই কেড়ে নিল বিধবা শাশুড়ির বসত ভিটা


সংবাদদাতা।।
আপন মেয়ের জামাই নিজের ঘরে আশ্রয় দিয়ে এখন র্সবশান্ত হলেন বিধবা শাশুরী ৫২ বছরের মাবিয়া। এঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পৈত্রিক ভাবে বরাদ্ধ পাওয়া সাড়ে ১২কড়া জমির বসত বাড়ীতে ২ মেয়ে সন্তান পাড়া মহল্লায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করত বিধবা মাবিয়া খাতুন। বিগত ৩০ বছর পূর্বে ২ মেয়ে দিলদার ও শাকেরা কে নিয়ে জীবন যুদ্ধের অভাবী সংসারে মেয়ে ২ জন বিবাহ উপযুক্ত হলে কষ্টের সংসারে ২ মেয়ে বিবাহ দেয়। কুতুবজোমের দক্ষিন পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের স্ত্রী মাবিয়া বেগম ২য় মেয়ে

শাকেরা বেগমকে বিয়ে দেয়  স্থানীয় দক্ষিন পাড়া গ্রামের জাহা বকসুর পুত্র মোঃ সাগরের সাথে । সাগরের সাথে বিয়ের পর সাগর সহ মেয়ে শাকেরা বেগম মাতা মাবিয়ার বসত বাড়ীতে ঘর জামাই থাকার সুবাদে শাশুরীর বসত ঘরের ৪ শতক জমি মেয়ের জামাই মোঃ সাগার নিয়ে বসবাস করার সুবাদে  মেয়ে শাকেরা ও সাগর সমিতিতে সদস্য করে কিস্তির টাকা নেওয়ার নামে জাতীয় পরিচয় পত্র নেয় এবং একটি কাগজে দস্তখত নেয়। সুকৌশলে জামাই সাগর ও মেয়ে শাকেরা বেগম  গত ২৮ শে জুলাই-২০২০ইং তারিখে রেজিঃ২৯(০৭)২০২০  নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে একটি দখল স্বত্বীয় জমি বিক্রয় নামে দলিল সৃজন করে। দলিল সৃজন করি জমির কোন খতিয়ান নং বা দাগ উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র স্বাক্ষর জ্বাল করে নেয়া দলিলে জমির মূল্য উল্লেখ করে তিনলক্ষ টাকা, জমির পরিমান লেখা হয় প্রস্থ ৩৪ ফুট ধৈর্ঘ্য ৩৭ ফুট।


বিধবা মহিলা মবিয়ার তথ্যমতে কুতুবজোম মৌজার আর.এস ২৮৩ নং খতিয়ানের ২৭৬২ দাগের ও বিএস ৩৪১৬ দাগের ০৪শতক জমি। সৃষ্ট কাগজে বি.এস ১নং খাস খতিয়ান উল্লেখ থাকলেও  কোন দাগের জমি তা লেখা হয়নি। নোটারী পাবলিকের এডভোকেট মোহাম্মদ হোছাইন স্বাক্ষরিত দলিলে যাদেরকে স্বাক্ষী হিসাবে দেখানো হয়েছে তারা কেহই স্থানীয় গ্রামের কোন ব্যক্তি নাই। যাদের স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে মোঃ ইসমাইলের মেয়ে খুরশিদা বেগম, কক্সবাজার টেকপাড়ার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর ও মৃত আবদুল করিম, না¹ুর পুত্র আব্দুল রাজ্জাক।

সম্প্রতি মেয়ের জামাই সাগার ও মেয়ে শাকেরা মিলে উক্ত বিধবা বৃদ্ধ মাবিয়াকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন স্থানীয় লোকজনকে ঘর জামাই ও মেয়ের বিরুদ্ধে বিচার দিলে তখন সাগার ও শাকেরা নোটারীমূলে বসত বাড়ীটি বিক্রয় করে বলে একটি কাগজ দেখালে বৃদ্ধ বিধবা মহিলাটির উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত হয়। মিথ্যা বনোয়াট জগন্যভাবে সৃজিত দলিলের কথা ফাস হয়েয়ে যায়। এদিকে বিধবা মাবিয়া তার আশ্রয়স্থল হািরয়ে তখন আরো অসহায় হয়ে পড়ে। সরকারী তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটির সঠিক তদন্ত উৎঘাটন পূর্বক অবৈধ নোটারী দলিলটি বাতিলের দাবী জানান বিধবা মাবিয়া।

পারভেজ