জানাগেছে -কিউএস এর প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত কয়েক মাসে তিনি ৬-৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে তার সিন্ডিকেটটি বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
প্রকল্পে কর্মরত স্থানীয় উপ-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান -প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের ১২ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও মাঠ ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে দেশীয় অফিসার। মাতারবাড়িতে পেন্টাওশানের প্রধান হিসাবে শাহীনূর ইসলাম কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি পার্সেস অর্ডার (পিও) মেট্রেরিয়াল কন্ট্রোলার অর্থাৎ কিউ এস দলের প্রধান অফিসার হিসাবে ৭-৮ মাস পূর্বে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব নেওয়ার পর শাহীনূর নিজেই কয়েকটি এন্টারপ্রাইজ খুলে উক্ত পেন্টাওশানের সমস্ত কাজ কৌশলে ভাগিয়ে নিচ্ছে।
এ কারণে মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষা করলেও স্থানীয় অন্য ঠিকাদার বা তাদের প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের কাজ এর পার্সেস অর্ডার পাচ্ছে না। এতে অনেকেরই মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনকি স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের ব্যবসা গুঁটিয়ে নিতে হয়েছে।
জানাগেছে -অগ্রধিকার ভিত্তিতে স্থানীয়দের চাকরি ও কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। চাকরির আড়ালে ব্যবসা নিয়ম না থাকলেও এ ব্যক্তি তাই নিয়মে পরিণত করেছে।
স্থানীয় ঠিকাদার সূত্রে জানাগেছে -পেন্টোশানের এ ব্যক্তি গোপনে পরিচালনা করছে -সোহেল এন্টার প্রাইজ, এস আই এন্টার প্রাইজ, অহি এন্টার প্রাইজ, ঢাকা হার্ডওয়ার, সেন্টার হার্ডওয়ারসহ ৬-৭ টি নিজের প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু লোকদেখানো ভাবে পেন্টাওশানের পার্সেস অর্ডার এর কোটেশন ইমেল দেয়া হয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। এসব কাজ তদারকি করার জন্য রয়েছে শাহীনূর ইসলামের আপন এক ভাই।
স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ -শাহীনূর ইসলামের মাতারবাড়ির এশিয়া ব্যাংক , বদরখালী ইউনিয়ন ব্যাংক ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক শাখায় তার একাউন্ট অনুসন্ধান করলে গত কয়েক মাসে অন্ততঃ কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেন্টাওশানে প্রধান শাহীনূর ইসলাম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভাব হয়নি।
তবে এ বিষয়ে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল কালাম আযাদ বলেন -তার অনিয়মের কথা তিনি জানেন না। তবে এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।