স্টাফ রিপোর্টার।। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে সুদ ভিত্তিক টাকার লেনদেন বেড়েছে, এখানে গড়ে ওঠেছে শক্তিশালী একটি সুদি মহাজনচক্র। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লোক বা সুদ ব্যবসায়ী যুক্ত হচ্ছে এ সিন্ডিকেটের সাথে। এ চক্রের ফাঁদে পড়ে উচ্চ হারে সুদ গুণতে গিয়ে নিস্বঃ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাছাড়া নানা দৈন্যতা থেকে এ চক্রের সাথে সুদ লেনদেনে জড়িয়ে চক্রটির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার দরিদ্র উদ্যোক্তা -দরিদ্র চাষি ও জেলেরা। একই সাথে চক্রটি বিভিন্ন দেশের সাথে অবৈধ হুন্ডি লেনদেনের কাজেও যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন থেকে এ অবস্থা চলে আসলেও এ শক্ত চক্রটির বিষয়ে প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে মনে করেন অনেকেই।
সরজমিন অনুসন্ধান ও একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে জানাগেছে -গত কয়েক বছর আগেও মাতারবাড়ির বেশীরভাগ মানুষ শান্তশিষ্ট, সহানুভূতি প্রবণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলো বহুলাংশই। এ সময় কিছু কিছু মানুষ বিদেশের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেন চালাতো। এ অবস্থায় এলাকার কিছু উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার কেন্দ্রিক একটি শক্তিশালী হুন্ডিচক্র গড়ে ওঠেছিল। পরে দেশে বেসরকারি ব্যাংকের প্রসার ও বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পথ সহজ হয়ে ওঠাসহ নানা কারণে চক্রটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিককালে এলাকার বড় সামাজিক ব্যাধি হয়ে উঠেছে গ্রাম-ভিত্তিক সুদের কারবার।
সূত্রের তথ্য থেকে জানাগেছে -অনেকই এখন সুদের মহাজনি পেশাটিকে প্রধান ব্যবসা হিসেবে নিয়ে পুরুদমে নিজেদের কাজ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই পুরানো হুন্ডি ব্যবসা ছেড়ে বিদেশ থেকে এলাকায় চলে এসে অবৈধ ভাবে মিনি ব্যাংক খুলে লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত কড়া সুদে ঋণ বিতরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর স্বাভাবিক কারণে এ চক্রটির কাছ থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তালিকায় রয়েছে এলাকার নিরীহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে দীর্ঘসূত্রিতা, দালাল চক্রের উৎপাত ও নানা প্রাতিষ্ঠানিক ঝামেলা এড়াতে তারা মূলতঃ এ মহাজনচক্রটির জালে জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া সুদিচক্রটির লক্ষ্যও থাকে এ ধরণের দুর্বল গ্রাহকদের প্রতি।
এদিকে কড়া বা উচ্চ হারে সুদের শর্তে ঋণ দেওয়ার পর এক প্রকারের জালে জড়িয়ে পড়ে ঋণ গ্রহীতারা। কোনও ভাবে ব্যবসায় উদ্যোগে লোকসানে পড়লেই তাদের আর সে অবস্থা থেকে উঠে আসার সুযোগ নেই। দিন, সপ্তাহ ও মাসের কিস্তিতে সুদের টাকা শোধ করে আসলেও ঋণ হিসেবে নেওয়া মূল টাকা বা কোনও কারণে শোধ করতে না পারা লাভের কিস্তির উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় এক পর্যায়ে অনেক ঋণ গ্রহীতা চরম জীবন বাস্তবতার মুখোমুখি পড়ে যায়। এ চরম অবস্থাটিকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে ঋণ গ্রহীতাদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করে এ সুদি-মহাজন সিন্ডিকেটটি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে -এলাকায় যারা সুদি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা ওইসব এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিই হয়ে থাকে। তারা এ অবৈধ ব্যবসাকে নির্ভিগ্ন ও নিরাপদ করতে এলাকা ভিত্তিক একটি শক্ত বলয়ও গড়ে তোলে। এ চক্রের সাথে জড়িত থাকে বিভিন্ন সারির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যমের কর্মি পরিচয় দেওয়া লোক ও প্রশাসনের সাথে যুক্ত লোকজনের সম্পৃক্ততা। তাছাড়া আয় ও সঞ্চয় ভিত্তিক প্রকল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও ব্যাংকের লোকজনের সম্পৃক্তার কথাও শোনা যায়। সব শ্রেণীর মানুষের সমন্বয়ে গড়া এ বলয়টি এক পর্যায়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়ে বলে সূত্রে প্রকাশ।
জানাগেছে -শুধুমাত্র একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়িতেই সম্প্রতি এ রকম একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। মূলতঃ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন বাবদে পাওয়া বিশাল অংকের নগদ টাকা থেকে বিনা পরিশ্রমে ভালো লাভের চিন্তা থেকে অনেকই এ সুদের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আর তারা নিজেরা নিজেরে মতো করে অবৈধ এ ব্যবসা নিরাপদ রাখার একটি ‘বল প্রয়োগ চক্র’ বজায় রাখায় এলাকায় দিনের পর নীরবে-নিরাপদে এ কড়া সুদের স্টিম-রুলার চালিয়ে যাচ্ছে অর্থের সংকটে পড়া বিপদগ্রস্ত মানুষদের প্রতি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে -মাতারবাড়ির বিভিন্ন স্থানে এ রকম সুদি মহাজনচক্র সক্রিয় রয়েছে। আইনগত ভাবে এটি চরম অপরাধ হলেও অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এ সুদি-চক্র অপ্রতিরোধ্য অবস্থায় রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান -এমন কার্যক্রম চরম অন্যয়, দেশে সরকার অনুমোদিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক এমন ঋণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ নাই। এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য। যে কেউ এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারিত বা হয়রানীর শিকার হলে তারা রাষ্ট্রের কাছে অবশ্যই প্রতিকার চাইতে পারে। তিনি সমাজে এমন সুদি কারবার হয়ে আসছে উল্লেখ করে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
সরজমিন অনুসন্ধান ও একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে জানাগেছে -গত কয়েক বছর আগেও মাতারবাড়ির বেশীরভাগ মানুষ শান্তশিষ্ট, সহানুভূতি প্রবণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলো বহুলাংশই। এ সময় কিছু কিছু মানুষ বিদেশের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেন চালাতো। এ অবস্থায় এলাকার কিছু উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার কেন্দ্রিক একটি শক্তিশালী হুন্ডিচক্র গড়ে ওঠেছিল। পরে দেশে বেসরকারি ব্যাংকের প্রসার ও বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পথ সহজ হয়ে ওঠাসহ নানা কারণে চক্রটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিককালে এলাকার বড় সামাজিক ব্যাধি হয়ে উঠেছে গ্রাম-ভিত্তিক সুদের কারবার।
সূত্রের তথ্য থেকে জানাগেছে -অনেকই এখন সুদের মহাজনি পেশাটিকে প্রধান ব্যবসা হিসেবে নিয়ে পুরুদমে নিজেদের কাজ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই পুরানো হুন্ডি ব্যবসা ছেড়ে বিদেশ থেকে এলাকায় চলে এসে অবৈধ ভাবে মিনি ব্যাংক খুলে লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত কড়া সুদে ঋণ বিতরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর স্বাভাবিক কারণে এ চক্রটির কাছ থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তালিকায় রয়েছে এলাকার নিরীহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে দীর্ঘসূত্রিতা, দালাল চক্রের উৎপাত ও নানা প্রাতিষ্ঠানিক ঝামেলা এড়াতে তারা মূলতঃ এ মহাজনচক্রটির জালে জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া সুদিচক্রটির লক্ষ্যও থাকে এ ধরণের দুর্বল গ্রাহকদের প্রতি।
এদিকে কড়া বা উচ্চ হারে সুদের শর্তে ঋণ দেওয়ার পর এক প্রকারের জালে জড়িয়ে পড়ে ঋণ গ্রহীতারা। কোনও ভাবে ব্যবসায় উদ্যোগে লোকসানে পড়লেই তাদের আর সে অবস্থা থেকে উঠে আসার সুযোগ নেই। দিন, সপ্তাহ ও মাসের কিস্তিতে সুদের টাকা শোধ করে আসলেও ঋণ হিসেবে নেওয়া মূল টাকা বা কোনও কারণে শোধ করতে না পারা লাভের কিস্তির উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় এক পর্যায়ে অনেক ঋণ গ্রহীতা চরম জীবন বাস্তবতার মুখোমুখি পড়ে যায়। এ চরম অবস্থাটিকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে ঋণ গ্রহীতাদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করে এ সুদি-মহাজন সিন্ডিকেটটি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে -এলাকায় যারা সুদি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা ওইসব এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিই হয়ে থাকে। তারা এ অবৈধ ব্যবসাকে নির্ভিগ্ন ও নিরাপদ করতে এলাকা ভিত্তিক একটি শক্ত বলয়ও গড়ে তোলে। এ চক্রের সাথে জড়িত থাকে বিভিন্ন সারির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যমের কর্মি পরিচয় দেওয়া লোক ও প্রশাসনের সাথে যুক্ত লোকজনের সম্পৃক্ততা। তাছাড়া আয় ও সঞ্চয় ভিত্তিক প্রকল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও ব্যাংকের লোকজনের সম্পৃক্তার কথাও শোনা যায়। সব শ্রেণীর মানুষের সমন্বয়ে গড়া এ বলয়টি এক পর্যায়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়ে বলে সূত্রে প্রকাশ।
জানাগেছে -শুধুমাত্র একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়িতেই সম্প্রতি এ রকম একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। মূলতঃ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন বাবদে পাওয়া বিশাল অংকের নগদ টাকা থেকে বিনা পরিশ্রমে ভালো লাভের চিন্তা থেকে অনেকই এ সুদের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আর তারা নিজেরা নিজেরে মতো করে অবৈধ এ ব্যবসা নিরাপদ রাখার একটি ‘বল প্রয়োগ চক্র’ বজায় রাখায় এলাকায় দিনের পর নীরবে-নিরাপদে এ কড়া সুদের স্টিম-রুলার চালিয়ে যাচ্ছে অর্থের সংকটে পড়া বিপদগ্রস্ত মানুষদের প্রতি।
মাতারবাড়িতে বিপদগ্রস্ত এমন এক ব্যক্তি উত্তর রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন। এক সময় বেশ বিত্তশালী ছিলেন এই লোক, ছিলো বিভিন্ন ব্যবসাও। লবণের ব্যবসা এবং ঘেরে মাছ চাষের সাথেও যুক্ত ছিলেন এ ব্যক্তি। এক পর্যায়ে ব্যবসায় লোকসানে পড়ে তার আর্থিক অস্থানও দুর্বল হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ব্যবসা ধরে রাখার জন্য তাকে স্থানীয় সুদি মহাজনের দ্বারস্থ হতে হয়। অনুসন্ধানকালে সব খবর এর এ প্রতিবেদক এর সাথে তার সাক্ষাত হয় -তিনি এ নিয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া অমানবিক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। জানান -এলাকার লোক হিসেবে তিনি মধ্যম রাজঘাট এলাকার সুদি মহাজন মোহাম্মদ তারেক এর দ্বারস্থ হন। এ তারেকও বেশ কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে এলাকায় এসে পুরুদমে সুদের ব্যবসা শুরু করে। বাধ্য হয়ে উচ্চ হারে সুদের শর্তে তার কাছ থেকে বড় অংকের একটি ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন মি. মোসলেম। ঋণ নেওয়ার সময় তাকে তার নামে থাকা ব্যাংক একাউন্ট এর বিপরীতে বেশ কিছু খালি চেক ও খালি স্ট্যাম্প দিতে হয়েছিল। এরিমধ্যে শর্তমতে সুদের টাকাসহ মূল টাকা শোধ করে তারেকের কাছ থেকে খালি চেকগুলো নিয়ে নেন মোসলেম উদ্দিন। তবে মহাজন তারেক এর কাছে রয়ে যায় খালি স্ট্যাম্পটি। কড়া সুদে নেওয়া এ ঋণের টাকা বিনিয়োগ করে মাছের ঘের করলেও এবার চাষে বেশ লোকসান গুণে আবারও দুরবস্থায় পড়েন মোসলেম উদ্দিন। এদিকে তার এ দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে তারেক এর কাছে থাকা খালি স্ট্যাম্পকে পুঁজি করে ফের মোটা অংকের সুদের টাকা দাবি করে বসেছে মহাজন তারেক। এ অবস্থায় নানা স্থানে ধর্না দিয়েও কোনও প্রতিকার পাচ্ছেনা বিপদগ্রস্ত মাছ চাষি মোসলেম উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন -তারেকের একটি শক্ত সিন্ডিকেট থাকায় সে অপ্রতিরোধ্য ভাবে এ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান -শুধু তার বেলায় নয়, সুদি মহাজনদের এটি স্বাভাবিক চরিত্র। সব জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করলেও প্রতিকার বা এ চক্র থেকে বের হয়ে আসার কোনও উপায় নেই। মান-সম্মানের চিন্তা থেকে গোপনে এ লেনদেন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত এ চক্রের ফাঁদে পড়ে শেষ সম্বলটুকুও হারাতে হয়, এ এক কঠিন জুয়া খেলা বলে মন্তব্য করে তিনি তার সাথে হওয়া এ অমানবিক ও অন্যয় আচরণ থেকে প্রতিকার কামনা করেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে -মাতারবাড়ির বিভিন্ন স্থানে এ রকম সুদি মহাজনচক্র সক্রিয় রয়েছে। আইনগত ভাবে এটি চরম অপরাধ হলেও অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এ সুদি-চক্র অপ্রতিরোধ্য অবস্থায় রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান -এমন কার্যক্রম চরম অন্যয়, দেশে সরকার অনুমোদিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক এমন ঋণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ নাই। এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য। যে কেউ এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারিত বা হয়রানীর শিকার হলে তারা রাষ্ট্রের কাছে অবশ্যই প্রতিকার চাইতে পারে। তিনি সমাজে এমন সুদি কারবার হয়ে আসছে উল্লেখ করে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।