Advertisement


মহেশখালী সব খবরে সংবাদ প্রকাশের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

হোবাইব সজীব।।
মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বিষাক্ত পিরানহা মাছ। এ মাছ বিক্রি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। দ্রুত এ মাছ বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। এ ইস্যুতে মহেশখালী সব খবরে ২১ জুলাই (বুধবার) একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।


এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবেশষে মহেশখালী সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছেন আজ। বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাছ বাজারে অভিযান চালান তিনি।
 
বিকালে উপজেলার বড় মহেশখালী নতুন বাজার নিষিদ্ধ মাছ বিকিনিকির খবর পায় মহেশখালী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিস। খবরের সূত্র ধরে উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজারে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর হোসেন।

এসময় বড় মহেশখালীর নতুন বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত আফ্রিকান মাগুর ও জাটকা ইলিশ রক্ষার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিশ কেজি জাটকা ও চল্লিশ কেজি আফ্রিকান মাগুর জব্দ করে, নিষিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সঙ্গে ছিলেন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো.আব্দুর রহমান খান, পুলিশের একটি টিম, মৎস্য অফিস সহকারী রবি চাকমাসহ সংশ্লিষ্টরা।

পরে মাছগুলো স্থানীয় ২টি এতিমখানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে পিরানহা মাছ চাষ, আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশের উত্তরঞ্চলে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা পিরানহা মাছ চাষ করছে এবং দক্ষিণাঞ্চলে রফতানি করছে।
আর দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী মৎস্য ব্যবসায়ীরা অল্পমূল্যে এ মাছ ক্রয় করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে সামুদ্রিক রূপচাঁদা বলে বিক্রি করছে। গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ না বুঝে এ মাছ ক্রয় করছে। তাদের ধারণা এ মাছ বিষাক্ত হলেও রান্না করলে ওই বিষ আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে যায়।

এ সব বিষয় নিয়ে মহেশখালীর সব খবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।

এদিকে রাতে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের সাথে টেলিফোনে কথা বলা হয়। এ সময় তিনি মহেশখালীর সব খবরকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ভ্রাম্যমান আদালত আইনে ৯টি আলাদা মামলায় আডাই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি চলার পরামর্শ দিয়ে নিয়মিত আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান।