Advertisement


মহেশখালীতে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা কাঁচাবাজারগুলোতে

অসীম দাশ ।।  সরকার ঘোষিত লকডাউনে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনায় কাচাঁবাজারগুলো উম্মুক্ত স্থানে সরানোর কথা বলা হলেও মহেশখালীতে এখনো বেশিরভাগ কাচাঁবাজারসহ মাছ বাজার উম্মুক্ত স্থানে স্থানান্তর না করায় এসব বাজারে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। মহেমখালীর পৌর এলাকা, বড় মহেশখালী, হোয়ানক এবং কালারমারছড়া বাজার ঘুরে দেখে এমন চিত্র দেখা গেছে। মহেশখালীজুড়ে ঢিলেঢালা লকডাউনের মধ্যে এই কাচাঁবাজারগুলোকে ঘিরে নতুন করে তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ-শঙ্কা। অন্যদিকে গতকাল রবিবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে একদিনেই মহেশখালীর ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে এই উপজেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়িঁয়েছে ৪৬২ জন।

মহেশখালীর সংবাদকর্মী সুব্রত আপন জানান, “কাঁচাবাজারগুলোতে যে পরিমাণ মানুষের উপচে পরা ভিড়, তাতে মনে হচ্ছে দেশ থেকে করোনা উঠে গেছে। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ লোকেরই মাস্ক নেই। বেশিরভাগ লোক করোনা মহামারী রোগ থেকে বাঁচার জন্য নয় পুলিশ ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার ভয়ে মাস্ক পরেন। মানুষ যেভাবে অসচেতনভাবে চলাফেরা করছে অচিরেই অন্যান্য এলাকার নেই মহেশখালীতেও এর প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে। ”

মহেশখালীর সন্তান জয়যাত্রা টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো ফুয়াদ মো: সবুজ জানান, গ্রাম তো দুরে থাক, শহরের লোকজনকেও দেখা যাচ্ছে লকডাউন না মানতে। তবে গ্রামে কাচাঁবাজার কিংবা হাট বাজারগুলো সাধারণত লোকজনদের আড্ডাস্থল হিসেবে দেখা হয়। এক্ষেত্রে এসব বাজার যদি খোলা জায়গায় সরানো সম্ভব হয়, তবে সরিয়ে নেওয়া উচিত; এবং এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা করোনা রোধে সহায়ক হবে।”

এই প্রসঙ্গে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমান বলেন, “লকডাউনের প্রস্তুতিসভায় আমরা বাজার কমিটিগুলোর সাথে বসেছিলাম। সেময় তাদের বলেছি যেসব বাজার খোলা জায়গায় সরানো সম্ভব সেসব বাজার সরিয়ে নিতে। ইতিমধ্যে কিছু বাজার সরানোও হয়েছে, তবে অনেক বাজারে জায়গা না থাকায় বাজার সরানোটা চ্যালিঞ্জিং আমাদের জন্য। যদিও আমি নিয়মিতই এসব বাজারে অভিযান চালচ্ছি। বাজারে আসা লোকজনদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করছি”।