Advertisement


কুতুবজোমে লাল পতাকা দিয়ে নদী দখল


ইন্টারনেট।। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গায় প্যারাবন কেটে ও নদীর চর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে পুনর্বাসন কেন্দ্র । (বেজা) কর্তৃক সোনাদিয়ায় উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ করার সুবাদে ঘটিভাঙ্গায় নির্মাণ করা হচ্ছে পুনর্বাসন কেন্দ্র ।

সোনাদিয়ায় বসবাসরত পরিবার গুলোর জন্য এই পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
তার একই পাশে বিশাল প্যারাবন কেটে ও নদীর চর দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা কথিত মৎস্যজীবী সমিতি নামের একটি কমিটি । এই কথিত মৎস্যজীবী সমিতি প্রকাশ কমিটি স্থানীয় ফরেস্ট বিট কে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তারা প্যারাবন কেটে এবং নদীর চর দখল করে অবৈধ ভাবে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে বলে জানালেন স্থানীয়রা । মুলত এই মৎস্যজীবী সমিতির নাম ব্যবহার করে (বেজা) থেকে একটি মোটা অংকের টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য আগে ভাগে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্যারাবন কেটে তারা চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে , এমটি স্বীকার করেছে স্বয়ং ঘটিভাঙ্গা পুর্ব পাড়া মৎস্যজীবী সমিতির কর্মকর্তারা । ঘটিভাঙ্গা মৎস্যজীবী সমিতির জাফর জানান , বর্তমানে যে চর দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছি এই জায়গা গুলো যে কোন মুহুর্তে (বেজা) নিয়ে যেতে পারে । তারা প্রকল্প নির্মাণ করতে আরো অনেক সময় আছে , এর আগে যদি আমরা চিংড়ি ঘের নির্মাণ করতে পারি তাহলে এটা আমাদের দখলে চলে আসবে । এবং যে কোন কারনে বেজা যদি আমাদের চিংড়ি ঘের উচ্ছেদ করে তাহলেও আমাদেরকে একটা বড় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । তিনি আরো বলেন আমরা এলাকার কত গুলো গরীব জেলে মিলে একটা মৎস্যজীবী সমিতি করেছি , এই সমিতির পক্ষ থেকেই চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছি । ঘটিভাঙ্গা ব্রীজের উভয় পাশে প্যারাবন কেটে এবং নদীর চরে লাল পতাকা দিয়ে দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে এই কমিটি । নির্বিচারে এসব প্যারাবন কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও অদৃশ্য কারনে বন কর্মীরা দর্শক ভুমিকায় রয়েছেন । বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার একটি টিম ২৯ জুন সকালে ঘটিভাঙ্গায় সরজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় এসব চিত্র । প্যারাবন ধ্বংসকারী এবং অবৈধ ভাবে নদীর চর দখলকারী ও নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন কারীর বিরুদ্ধ অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান (বাপা) মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার নেতৃবৃন্দ ।

গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন , বিষয়টি এখন শুনেছি
ঘটিভাঙ্গার ওখানে কালকেই বিট পাঠাব , যদি জায়গাটা বেজা’র না হয় তাহলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান , এব্যাপারে বন বিভাগ আমাদেরকে কোন সংবাদ জানায়নি । এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।

সংবাদসূত্রঃ আগামীর সংবাদ [ সম্পাদিত নয় ]