Advertisement


মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের বার্জ স্থানীয় প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে, থানায় অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের জন্য আনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একটি মূল্যবান বার্জ স্থানীয় প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মহেশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তি বলেছেন ভিন্ন কথা, পাওনা টাকার বিপরীতে বার্জটি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ করার জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এর সাথে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চুক্তিবদ্ধ হয় ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ কন্সট্রাকশন কোম্পানী এবং সিভিএল-জেভি। বর্তমান পর্যন্ত তারা কাজ করে আসছে। উন্নয়ন কাজের জন্য তারা দুইটি বার্জ পেন্টা-ওশান থেকে ক্রয় করে। পরে এ বার্জগুলো কাজের স্বার্থে অন্যান্য মালামালসহ মাতারবাড়ির উত্তর রাজঘাট এলাকায় রাখে। এ সব মালামাল তাদের বোট মাঝি জনৈক ভুট্টো নামের এক ব্যক্তির তত্বাবধানে ছিলো। 

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ -গত ১২ জলাই বেলা ১১টার দিকে মাতারবাড়ি শিকদার পাড়া এলাকার জনৈক মোঃ হাইদার আলীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি তত্বাবধায়ক ভুট্টোকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জোরপূর্বক একটি বার্জ উত্তর রাজঘাট হতে মাতারবাড়ি ব্রিজের নিচে নিয়ে এসে বার্জটি কাটা শুরু করে। এ সময় বাধা দিলে ভুট্টোকে তারা ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এটির আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 


গত ১৪ জুলাই  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ কন্সট্রাকশন কোম্পানী এবং সিভিএল-জেভি এর পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগটি করেন প্রোপাইটার হারুন আহম্মেদ। এ বিষয়ে জানতে  তত্বাবধায়ক ভুট্টোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান -লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা মোঃ হাইদার আলী মূলতঃ মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হয়দার। বার্জ নিয়ে এসে কাটার সময় তিনি বাধা দিলে তাকে ধমক দেওয়া হয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন -কোম্পানীর এক ব্যক্তির কাছ থেকে হায়দার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো পাওনা ছিল। কিন্ত নিয়েগেছে অন্যজনের বার্জ। 

এ বিষয়ে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হয়দার জানান -মূলতঃ হারুন আহম্মেদ এর কাছ থেকে তিনি প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো পাওনা আছেন, একই ভাবে এলাকার আরও একাধিক ব্যক্তি তার কাছ থেকে টাকা পায়। দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে টাকা না দিয়ে এ বার্জটি তার জিম্মায় রেখে চলে যায়। পরে বার্জটি নষ্ট হয়েগেলে হারুন আহম্মেদ এর সাথে বিভিন্ন কথা চালাচালির পর তা কাটা হয়। 

মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান-এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়াগেছে, একজন অফিসারকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।