Advertisement


প্রভাবশালীর লোকজন কর্তৃক প্যারাবন নিধন, ঘের নির্মাণ; বন বিভাগের অভিযান


রকিয়ত উল্লাহ ও মাহবুব রোকন, বড়দিয়া থেকে ফিরে মহেশখালীতে বিপুল পরিমানে সরকারি জমি দখল করে, বন বিভাগের উদ্ভিদ বাগান -প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের নিমার্ণ কছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত ৩ মাস ধরে টানা এ দখলযজ্ঞ চললেও শনিবার (১০) জুলাই দুপুরে উপকূলীয় বন বিভাগ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ একর সরকারি জমি অবমুক্ত করে।

উপকূলীয় বন বিভাগ -গোরকঘাটা রেঞ্জের কর্মকর্তা এসএম আনিসুর রহমান জানান -গত বেশ কয়েকদিন আগ থেকে মহশখালীর জনৈক নেতার অনুসারী লোকজন মহেশখালীর বড়দিয়া মৌজার প্রায় ৬ একর বন বিভাগের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে নেয়। তারা সেখানে বাঁধ গড়ে তোলে তারা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন লোক বাঁধ নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছিল। লোকালয় থেকে বেশ দূরে সমুদ্রোপকূলবর্তী এলাকায় হওয়ায় দখলের তথ্যটি বন বিভাগের অগোচরে থেকে গিয়েছিলো।

শনিবার সকাল ৮ থেকে ১৫ জনের স্বসস্ত্র দল নিয়ে প্রায় ৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে বাঁধ কেটে দখল মুক্ত করা হয়। এ সময় বাঁধ কাটার কাজে ৩০ জন শ্রমীক কাজ করে। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির কথা ও জানান।

এদিকে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতারা সিন্ডেকেট করে বন বিভাগকে ম্যানেজ করে প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করার হিড়িক পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্যারাবন নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যতঃ আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্যারাবন কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে আসছে।

পরিবেশ আন্দোলন বাপার মহেশখালীর সভাপতি মোসাদ্দেক ফারুকী বলেন, পরিবেশ ধ্বংসকারীরা পরিবেশের শত্রু, দেশের শত্রু;  তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাফুজুর রহমান জানান, বড়দিয়া নামক একটি স্থানে প্যারাবন কেটে দখল করার অভিযোগ শুনলে বন বিভাগকে সহযোগিতার মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়। সররকারি জমি অবৈধ ভাবে দখল করে, উদ্ভিদ বাগান ধ্বংস করে ঘের নির্মাণের ঘটনা দুঃখজনক বলে জানান তিনি।