Advertisement


মহেশখালীতে তিনিও ডাক্তার! সরকারি লোগো দিয়ে ভিজিটিং কার্ড প্রচার


রকিয়ত উল্লাহ▷ মহেশখালীতে সরকারের কোন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত না হয়ে ভুয়া সরকারী লোগো ও পদবী ব্যবহার করে মহেশখালীর উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট শাপলাপুর ইউনিয়নের এ আই টেকনিশিয়ানের ভিজিটিং কার্ড করে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সালাহ উদ্দিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।  তার বাড়ি উপজেলার শাপলাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বলে জানাগেছে।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ -উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টে টেকনিশিয়ান পদে প্রশিক্ষণ করার জন্য নূম্যতম যোগ্যতা লাগে এসএসসি । সেখানে মহেশখালী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের এক কর্মকর্তার  সাথে যোগসাজশ করে তিনি টেনিং এর জন্য চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হন এবং করোনাকালীন প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকায় সে এখনো টেনিং না নিয়েও ভিজিটিং কার্ড ও নিজের মোটরসাইকেলে সরকারী স্টীকার লাগিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে প্রতরণা করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার এমন কর্মকান্ডে হতভাগ এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী  প্রশ্ন তোলেন -তিনি পশু ডাক্তারের পিছনে ঘুরে ঘুরে সেও ডাক্তার হয়ে গেছে বলে বেড়ায়। আসলে তিনি কোন প্রকার প্রশিক্ষণ না নিয়েও কিভাবে ডাক্তার হলো তা তাদের প্রশ্ন।

এ সব বিষয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া সালাহ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি -শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন বলে প্রতিবেদককে জানান এবং সেই সনদের কোন কপি আছে কিনা জানতে চাইলে আগুনে পুড়ে গেছে বলে তথ্য দেন। তিনি আরও জানান -করোনাকালীন সময়ের জন্য আমার টেনিং বন্ধ।  মোটরসাইকেলে ভিএসও যাতায়ত করেন বিধায় অফিস থেকে সরকারী স্টীকার লাগিয়েছে এবং ভিজিটিং কার্ডও অফিস থেকে দেওয়া হয়ছে বলে জানান তিনি।
 
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নন্দন কুমার জানান, অভিযোগ উঠা ব্যক্তির করোনার কারণে প্রশিক্ষণের সিডিউল বন্ধ আছে। তার গাড়ীতে করোনাকালীন সময়ে যাতায়ত করার জন্য স্টীকার লাগানো হয়েছিল তবে ভিজিটিং কার্ড সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান এ কর্মকর্তা। তার প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত তালিকায় জন্য এসএসসি সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সালাহ উদ্দিন মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করছেন।

এদিকে সালাহ উদ্দিন ও উপজেলা কর্মকর্তার দেয়া তথ্যের মধ্যে বেশ গড়মিল থাকায় এ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।