স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজানটিয়া এলাকার কয়েকজন জেলে পানিতে লাশটি দেখতে পেরে পেকুয়া থানায় খবর দেয়।পরে পেকুয়া থানা পুলিশ মহেশখালী থানা পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন বলে জানান পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর হায়দার।
পরিবারিক সূ্ত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাইরার ডেইল গ্রামের আয়াত উল্লাহ'র ৭ বছরের শিশু কন্যা মাহিয়া বাড়ীর পাশের সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত একজন ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো গত (৩০ নভেম্বর) বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিকালে বাড়ীতে ফিরে আসে।এরপর খেলাদুলা করতে গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত না আসায় মা-বাবা সহ আত্বীয় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়।পরদিন শিশুটির পিতা মহেশখালী থানায একটি জিডি করেন।এর সূত্র ধরে পুলিশ সম্ভাব্য স্থানে তল্লাশী চালান।
নিহত মাহিয়ার পিতা আয়াত উল্লাহ জানান, গত ২ ডিসেম্বর আমাকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।টাকা না দিলে আমার শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।কিন্তু আজ (৩রা ডিসেম্বর) আমার মেয়েটার মৃত দেহ পাই।আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।তিনি আরও জানান, আমাকে ফোন করার নম্বরটিতে কল দিয়ে পুলিশ কলদাতাকে খুঁজে বের করে এবং তার সাথে থাকা তার দুলাভাই ও বোনকে সাইরারডেইল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।আটককৃতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইকং ইউনিয়নের ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ সুলেমান(২৭), মাতারবাড়ি সিকদারপাড়া মো সুলেমানের স্ত্রী শাহিদা আক্তার মুন্নি (২০) ও তার শ্যালক মো হাসান(১৮)।
এ নিয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী বলেন, বিষয়টির শুরু থেকে আমরা কাজ করতেছি।এ ঘটনায় ৩জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেছি।নিহত শিশুর পিতা থানায় মামলা করেছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আমরা আইনিগতভাবে ব্যবস্থা নিব।
শিশু মাহিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে,তার জন্যে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।