রকিয়ত উল্লাহ।। ভূয়া নাম ও ঠিকানায় পাসপোর্ট করে দেশে নানা অপকর্ম করে বিদেশ যেতে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্রের সিন্ডেকেটের সদস্য মকছুদ মিয়া। তিনি কক্সবাজারের মহশেখালীর উপজেলার মাতারবাড়ির নয়াপাড়ার রহমত আলীর পূত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কয়েকবছর অবৈধ ভাবে সৌদি-আরব ছিলেন প্রতারক চক্রের সদস্য মকছুদ মিয়া। সেখানে থেকেই দালাল চক্রের হাত ধরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মিঠাপুকুর ইউনুয়নের রাথিয়া বাজেদপুরে এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার পূত্র লাল মিয়ার নামে নিজের ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে EA 0754336 নম্বরের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে। যা নিয়ে সে বিদেশ থেকেই দেশেই যাতায়ত করত। সম্প্রতি তিনি দেশেই এসে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নিজ এলাকায় এসে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলার লিপিবদ্ধ হয়। এদিকে তিনি হত্যার হুমকি দিয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে বলে জানাগেছে।
এ প্রতিবেদকের হাতে আসা তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয় পত্রমূলে সে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার নাম মকছুদ মিয়া, পিতা রহমত আলী, মাতা মজুদা বেগম স্ত্রী কাশেমুন নাহার যার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৪১৯৬১৮৩৩৫৬, অন্যদিকে তার বহনকারী পাসপোর্টে তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের রাথিয়া বাজেদপুরের বাসিন্দা হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেখানে তার নাম লাল মিয়া, পিতা আব্দুল হাই মিয়া, মাতাঃ মকসুদা বেগম ও স্ত্রী কাশেমুন নাহার। যার পাসপোর্ট নম্বর EA 0754336।
এদিকে তিনি ডিজিটাল যুগে এসেও প্রতরণা করে ভূয়া নাম ও ঠিকানায় পাসপোর্ট করে দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতরণার শিকার হওয়া এক ভূক্তভোগী জানান, সে দেশেই এসে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়, সে আমার থেকে চাঁদাবাজি করে এবং তাতে সম্মত না হওয়ায় সে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে, সে ভূয়া নাম ও ঠিকানায় পাসপোর্ট জালিয়তি করে আমাকে হুমকি দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সে একজন প্রতারক, তার বিরুদ্ধে আমি মহেশখালী থানায় একটি মামলা ও করেছি। তার পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র জব্দ করলে তার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
সূত্রে জানা যায়, তিনি গত ১৩ জুলাই ঢাকা আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের একটি ফ্লাইটে সৌদি-আরব যাওয়ার জন্য অবস্থান করছিল এবং দেশের সার্বিক পরিস্তিতিতে ফ্লাইট মিস হওয়ায় সে আবারও দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশ চলে যেতে তৎপর হয়ে উঠে।
এদিকে মকসুদ মিয়ার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি অন্যদিকে তার ছেলে দাবী করেন -তার পিতা আর বিদেশ যাচ্ছে না।
মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত আশিক ইকবাল জানান, মকসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। তবে গলাকাটা পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ গমন করার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। তবে কেউ যদি সে পদ্ধতিতে বিদেশ তবে যায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।