Advertisement


স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করা একারামের হত্যাকারী কবিরের অস্ত্র উদ্ধার ও রিমান্ডের দাবি


বার্তা পরিবেশক।।
জলদুস্য থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দিয়ে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে আসা একারামের হত্যাকারী ডজন মামলার আসামী গ্রেফতার কৃত কবিরের কাছে থাকা অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা একারামের সহযোগিরা।

গত ৩০জুন পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাতের অন্ধকারে মাতারবাড়ির উত্তর রাজঘাটে কোহেলিয়া নদীর দ্বারে কবিরের নেতৃত্বে নৃশংসতা ভাবে কুপিয়ে ও চুরিকাতে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে চলে যায়। এর পরের দিন সকালে স্থানীয় জনতার সাহায্য কবিরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেন স্থানীয় জনতা। পরে মোঃ মনিরুল আলম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে কবিরকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৬ জনসহ ৮জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে মহেশখালী থানায়।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কবিরের নেতৃত্বে উপজেলার কালারমার ছড়ার চালিয়াতলী,ষাইটমারা ও মাতারবাড়ি সড়কে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করত। একসময় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে একারাম সহ কয়েকজন মিলে কবিরকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল। জেল কেটে এসে কবির স্থানীয় এক প্রভাবশালী আশ্রয় নিয়ে একারামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কবিরের সাথে যুক্ত হয় একারামের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ থাকা আরেকটি পক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে তারা সহ মিলে পরিকল্পনা করে মাতারবাড়িতে নিয়ে হত্যা করা হয় একরামকে।

এদিকে একারমের হত্যাকারী ও ইন্ধনদাতাদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার মূলক দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে জলদুস্যের জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিহত একারামের সহকর্মীরা। তারা বলেন, দুস্য থাকা সময় আমাদের সাথে অনেকের বিরোধ ছিল। আমরা সব ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে ও তারা সে বিরোধ ভূলেনি।তার ফলস্বরূপ একারমকে হত্যা করা হয়। এভাবেও আমাদেরকে হত্যা করতে পারে। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে প্রশাসনের প্রতি কবির সহ যে সমস্ত সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণ করেনি তাদের অস্ত্র উদ্ধারসহ তাদের গ্রেফতারের করে আইনের আওয়াতায় আনা হউক।