বিশেষ প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসকের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পথশিশুদের গ্যাংস্টার
অ্যাখা দিয়ে দেশী বিদেশী ফান্ডের লোভে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই দিন ব্যাপী “ঋতুবতী:
প্রাণের প্রবাহিনী” নামের সেই বিতর্কিত অনুষ্ঠানটি
অনুষ্টিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার নির্দেশনা দিলেও
জেলা প্রশাসনের খামখেয়ালিপনা ও কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালকের সহযোগীতায়
সেই বিতর্কিত অনুষ্ঠানের প্রথমদিন সুষ্ঠুভাবেইর অতিবাহিত করেছে
অর্থলোভী চক্রটি।
দুই দিন ব্যাপী “ঋতুবতী: প্রাণের প্রবাহিনী” নামের অনুষ্ঠানের প্রচার পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের নামও ব্যবহার করার বিষয়টি জানতে পেরে গত রবিবার রাতে দুদিন ব্যাপি সেই অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশের পরেও কেন অনুষ্ঠান চলছে এমন প্রশ্নে উত্তরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংক্যিন রাখাইন বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতির দরকার নেই আমাদের। তবুও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট
আরাফাত সিদ্দিকীর সাথে সাথে আমি কথা বলেছিলাম।
তিনি মৌখিকভাবে আমাকে অনুষ্ঠানটি করার অনুমতি দিয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, এ
বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি কাওকে কোন অনুমতি দেইনি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে আগত নানা এনজিওতে কর্মরত নারী ও পুরুষ মিলে গড়ে উঠা একটি প্রতারক চক্র অনুষ্ঠানটির আয়োজন
করেছে। সেই চক্রতে অভি কিম্বেল ও তার স্ত্রী লুসি তৃপ্তি গোমেজ জন মাহমুদ, রুবেল, পরান সহ ১০-১২ জন রয়েছে। এরা স্থানীয় পথ শিশুদের কিশোর গ্যাং উপাধি দিয়ে কৌশলে নানা ভিডিও চিত্র তৈরি করেছে। যেগুলো তাঁরা নানা দাতা সংস্থাদের কাছে পাঠিয়েছে। সেসব ভিডিও নিয়ে সোম ও মঙ্গলবার তাদের সেই বিতর্কিত অনুষ্ঠান। ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘এডভোকেটিং ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, প্রকৃতি ও পুরুষ-নারী এবং চিলড্রেন ওয়ার্কশপ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’নামে গোল টেবিল বৈঠকের অন্তরালে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ছক নিয়ে এগুচ্ছেন
চক্রটি।
ওই চক্রের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোটা অংকের টাকা নিয়ে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের
পরিচালক মংক্যিন রাখাইন সকল নিষেধজ্ঞা ও নিয়মনীতিকে
অমান্য করে চক্রটিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংক্যিন রাখাইন বলেন, আমাকে অনৈতিক সুবিধা দেয়া দূরের কথা এখনো হল ভাড়ায় দেয়নি আয়োজকরা।