Advertisement


মাতারবাড়ির নির্বাচন কেন্দ্রের ভিডিওর বিভ্রান্তিকর প্রচার, ভুল বোঝাবুঝির অবসান

বার্তা পরিবেশক।। মাতারবাড়ির একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা বিতরণের সময় ভিডিও ধারণ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুকে ভিড়িও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। যে ব্যক্তি মিথ্যা ভাবে ভিডিওটি ছড়িয়ে ছিল ওই ব্যক্তি অনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চেয়েছে। 

জানা গেছে -গত ২০ সেপ্টেম্বর মহেশখালীর ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভোটগ্রহণ শেষে রাতে মাতারবাড়ির একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের মধ্যে টাকা বণ্টনের একটি ভিড়িও ভুল ও মানহানিকর ভাবে প্রচার করা হয়। জনৈক ব্যক্তি ভিডিওটি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে বিষয়টি মহেশখালীতে ভুল ভাবে অনেকটা ভাইরাল হয়ে যায়। 

মূলতঃ ওই দিন মাতারবাড়ি মাইজপাড়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাদের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দা দেওয়া টাকা বন্টন করা হচ্ছিল। ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্র জানিয়েছে -এই ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন দৈনিক রূপালী সৈকতের মহেশখালী প্রতিনিধি এম কায়সারুল হক। কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে অনেকটা অনৈতিক উপায়ে ভিডিওটি ধারণ করে কি এবং কিসের টাকা বন্টন করা হচ্ছে তা যাচাই না করে ভুল তথ্য দিয়ে ক্যাপশন লিখে তা তার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড দিয়ে দেন। ফলে দ্রুত ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এতে ফেসবুক ব্যাবহারকারীদের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি সরকার তথা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয়। একই সাথে কেন্দ্রটিতে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মহেশখালী কলেজের প্রভাষক সরওয়ার কামালসহ পোলিং অফিসার হিসেবে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদের বেশ সম্মানহানি হয়।  

এ অবস্থায় ডিজিটাল গেজেটে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে মানহানি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর পটভূমিতে শিক্ষকবৃন্দ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার উদ্যোগ নেন। শিক্ষকবৃন্দ এ নিয়ে থানায় গিয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)'র সাথে দেখা করেন এবং মামলা করার বিষয়ে আলাপ করেন। 


এদিকে শিক্ষকগণ থানায় গিয়ে জানতে পারেন অভিযুক্ত কায়সারুল হক নাকি ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চেয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে দুঃখপ্রকাশ করে একটা পোস্ট দিয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষকবৃন্দ মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় হাজির হয়ে ওসির সামনে প্রকাশ্যে সবার কাছে ক্ষমা চাইলে বিষয়টা নিষ্পত্তি হয়। এবং যে সকল ফেসবুক আইডি ও পেইজে ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছিল তারা তা দ্রুত সরিয়ে নেন। 

এদিকে ফেসবুকে ভুল ভাবে প্রকাশ হওয়া ভিডিওটি নিয়ে ছাত্র, পারিবারিক সদস্য ও সকল শুভাকাঙ্খীসহ কাউকে বিব্রত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুল হাই।

প্রসঙ্গতঃ ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মাঝে মাস্টার রোলের মাধ্যমে সরকারি ভাতা বিতরণ করা হচ্ছিল।