Advertisement


ব্যক্তি উদ্যোগে মাছের ঘের বানাতে নদী দখল, ঝুঁকিতে মহেশখালী সেতু (ভিডিও)


রকিয়ত উল্লাহ।।  মহেশখালী-বদরখালী সেতুর উত্তর অংশের সাথে লাগোয়া নদীর বিশাল অংশ দখল করে মাছের ঘের তৈরির কাজ করছে একটি মহল। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকেই নদী দখলের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও কোন তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করেন তারা।

ব্যক্তি উদ্যোগে মাছের ঘের বানাতে নদী দখল, ঝুঁকিতে মহেশখালী সেতু

Posted by moheshkhalirsobkhabor.com on Monday, January 10, 2022
সরেজমিন গিয়ে- ১০ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১ টার সময় চকরিয়া উপজেলার বদরখালী পাশে মিল ঘোনার বাহিরে মহেশখালী-বদরখালী সেতুর ২০০ গজের মধ্যেই স্কেভেটার দিয়ে মাটি কেটে নদী দখল করার দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির থেকে ইজরা নিয়ে নদী দখল করতেছে একটি সিন্ডিকেট। ফলে পরিবেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে সেতুর ২০০ গজের কাছাকাছি হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়ছে মহেশখালী-বদরখালী সেতু।

সূত্রে জানা যায়, বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি থেকে  মহেশখালী-বদরখালী সেতুর লাগোয়া মিল ঘোনা নামক চিংড়ি ঘেরটি ইজরা নেন এক ব্যক্তি। তার থেকে চিংড়ি ঘেরটি পুনঃ ইজরা নেন কয়েকজন ব্যক্তি। তারাসমিতির সাথে আঁতত ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্কেভেটার দিয়ে নদী দখল করে নতুন করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করতেছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে পরিবেশ ও মহেশখালী-বদরখালী সেতু। এ বিষয়ে দখল কাজে থাকা জয়নাল নামের এক ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মাটি কাটা বন্ধ করে দিবেন বলে জানান।

বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন নদী দখল হচ্ছে  এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা সমিতির পক্ষ থেকে  মিল ঘোনাটি আহমদ নামে একজনকে ইজরা দিয়েছি, তাদেরকে নদী দখল করে নতুন করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করার অনুমতি দেয়নি। ইতোমধ্যে সমিতির পক্ষে থেকে লোকজন গিয়ে বাঁধা দিয়েছে।

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, নদী দখল করলে খোঁজ খবর নিয়ে  অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।