Advertisement


হাসি নেই চাষিদেরঃ পানের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা





রকিয়ত উল্লাহ।। 

মহেশখালীতে উৎপাদিত ফসলের মধ্যেই মিষ্টি পানের চাহিদা বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত। এই পানের মিষ্টি স্বাদই এর বিশেষত্ব। কিন্তু মৌসুমের শীত কালীন সময়ে পানের দাম চড়া থাকলেও এই মৌসুমে  পানের দাম না থাকায় হতাশ চাষিরা। 


 মহেশখালী কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর  প্রায় ১৬০০ হাজার হেক্টর পাহাড়ি জায়গা জুড়ে  প্রায় ১০ হাজার পান বরজ এবং ২৩ হাজার পানচাষি রয়েছে। যারা  জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ হিসেবে পানচাষকে বেছে নিয়েছে এবং চাষিরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছর পানের দাম থাকলে খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হয় চাষিরা। তবে এবারে মৌসুমে শীত কালীন সময়ে পানের দাম চড়া থাকার কথা অথচ এবারে পানের দাম তলানিতে নেমে পড়েছে। 


 উপজেলার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার পানচাষি সোহেল রানা জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতে পানের দাম থাকায় পান বরজের অনেকটা মুলধন চলে আসত। এবারে দাম তুলনামূলক কম থাকায় হতাশ । হোয়ানকের টাইমবাজারের পানচাষী আমান উল্লাহ জানান, শীতের শুরুতেই যে পানের বিরা প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বিক্রি হত সেটা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসান হবে। 


মহেশখালীতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫ টি স্থানে পানের  বাজার বসে। যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা পান কিনে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। পানের দাম না থাকায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় পানের দাম নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পান চাষিরা।  


মহেশখালী কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মমিনুল ইসলাম জানান, দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী চাষের জন্যে বেশ উপযোগী।বিশেষ করে মিষ্টি পান। প্রতি বছর দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে  ৪৩ হাজার মেট্রিক টন পান রপ্তানি হচ্ছে। তবে পানের মূল্য কিছুটা কম থাকলেও সামনে পানের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।