আব্দুর রহমান রিটন। । মহেশখালী
হঠাৎ করে বেড়ে চলছে দেশে করোনার সংক্রমণের হার।এরই মধ্যে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মহেশখালী মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।বিগত কয়েক দিনে এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক হয়েছে।এদের বেশিভাগই বিদেশী কর্মকর্তা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ভারত থেকে ছুটি কাটিয়ে কয়েকজন বিদেশী করোনা টেষ্ট করলে, তাদের পজিটিভ আসে।সেই থেকে বাড়তে থাকে এই সংখ্যা।করোনার সংখ্যা প্রতিদিন বেগতিক হারে বেড়ে চলেছে। কিন্তু প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে নেই কোন ধরনের সচেতনতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাতারবাড়ীর কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন লাগোয়া বাজার সাইরারডেইল আর মগডেইল বাজারে কোন ধরনের সচেতনতার বালাই নাই,নেই কারো মুখে মাস্ক। করোনার নতুন হটস্পট মাতারবাড়ী প্রকল্পে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পুরো কক্সবাজার ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মাতারবাড়ী সচেতন মহল। আবার অন্যদিকে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে রয়েছে কঠোর বিধি-নিষেধ।প্রকল্পে কোভিড-১৯ এর টিকা ছাড়া বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ রয়েছে।প্রকল্পের ভিতরে মাস্ক ছাড়া চলাচলও নিষেধ রয়েছে।তবে এই বিধিনিষেধ গুলো করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার পর নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৬৯ জন।গত ১৪ জানুয়ারি আক্রান্ত হন সর্বোচ্চ ৬২ জন।এর আগের গত ১৩ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ১৯জন। ১২ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ২৪ জন, ১১ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ১০ জন এবং গত ৬,৭,৮ ও ৯ জানুয়ারি এই চার দিনে ঐ প্রকল্পে করোনা আক্রান্ত হন ১০৩ জন।
এ নিয়ে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাঃ মাহফুজুর রহমান দৈনিক হিমছড়ি'র প্রতিবেদককে বলেন,“ প্রকল্পে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাইকে আইসোলেশনে আছে।স্থানীয়দের সচেতন করার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও চেয়ারম্যানদের সাথে মিটিং করেছে এবং সরকারি ১১ দফা বাস্তবায়নের করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহৎ মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ইউনিট অর্থাৎ ৬০০ মেগাওয়াট এবং একই বছরের জুলাইতে দ্বিতীয় ইউনিট আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর ২০২৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার কথা রয়েছে।