Advertisement


মহেশখালীতে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু

৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দেওয়া হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক।। মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা ভেকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।  

৮ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ৯ টায় উপজেলা হল রুমে টিকাদানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন মহেশখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সাইফুল ইসলাম।

প্রথম দিন মহেশখালী ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইটি ভ্যানু্তে  ৪ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের করোনা ভেকসিন বরাদ্দ ছিল।  

উপজেলার পরিষদের হল রুম ও মাতারবাড়ির ইউনিয়ন পরিষদে বিরতিহীন ভাবে মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালায়, মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, মাতারবাড়ি আডিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে করোনা ভেকসিন দেওয়া হয়। এতে টিকা দিতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিতে কষ্ট হলেও টিকা দেওয়ার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আসমা খানম হেমা জানায়, টিকা নিয়ে অনেক ভাল লাগছে, খুবই সুন্দর পরিবেশে টিকা দিতে পেরেছি।


অপরদিকে সাইফুল নামে এক ছাত্র জানায়- টিকা দিতে এসে দেখি অনেক ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।  তারপরও টিকা নিয়ে বাড়ি যাব।

মহেশখালী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর প্রায় ৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২-১৮ বছরের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজারের করোনা ভেকসিন দেওয়া হবে।  সিডিউল অনুযায়ী আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক ভাবে করোনা ভেকসিন দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুল হক জানান -৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৮ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজারের করোনা ভেকসিন দেওয়া হবে। যেটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথম দিন  ৪ হাজার ৩০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ৪১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের করোনা ভেকসিন দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ করোনা ভেকসিন না নিলে তাকে স্কুলে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই সকল শিক্ষক ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছেলেমেয়েদের টিকা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।