Advertisement


পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাই নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য, আয়েশে মাথায় টুপি দিলে মাওলানা হয় না!

সৈয়দুল কাদের
মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক কক্সবাজার জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন আইডল হিসেবে খ্যাত। তিনি শৃংখলা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও প্রতিহিংসাহীন অহিংস রাজনীতিতে ও জীবন চর্চায় বিশ্বাসী। মাননীয় সংসদ সদস‍্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উদ্দ্যশ্যমূলক অপপ্রচার এবং অসৌজন্যমূলক আচরণে তিনি বিশ্বাসী নন।

মাননীয় সংসদ সদস্যের রয়েছে বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী ও অসংখ্য জনতার ভালোবাসা। যারা একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাননীয় সংসদ সদস্যকে সবসময় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি নেতাকর্মীদের বার বার বলেন -অপপ্রচার কোন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর কাজ নয়। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। কারও বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা কারো মর্যাদাহানির চেষ্টা করা রাজনীতি হতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত সংযত আচরণ, ভদ্র ব্যবহার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করার নির্দেশনা নেতাকর্মীদের দেন তিনি। ইতোমধ্যে মার্জিত আচরণ, সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করায় শুধু কক্সবাজার জেলায় নয় পুরো বাংলাদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন এ মানুষ। যার সুবাদে গত ২৫ মার্চ ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনায় আমন্ত্রিত হয়ে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ বুদ্ধিজীবীরা ওই গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। উক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্মানিত সম্পাদক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্ত।

সুতরাং অপপ্রচার নয়, সিনিয়রদের শ্রদ্ধা করতে শিখুন শিষ্টাচার বহির্ভূত রাজনীতি থেকে বিরত থাকুন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিনিয়রদের শ্রদ্ধা এবং সম্মান করে রাজনীতি করেছেন। জাতির জনকের আদর্শে বিশ্বাসী আশেক উল্লাহ রফিক এমপিও সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সকলের প্রতি মার্জিত আচরণে বিশ্বাসী। যার ফলে তিনি মহেশখালী-কুতুবদিয়া নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। বিগত সময়ে যেটি মহেশখালীবাসীর স্বপ্ন ছিল সেটি বাস্তব রূপ দিয়েছেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি কক্সবাজার জেলায় একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুতরাং মাননীয় সংসদ সদস্য কোন কর্মী কারও বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হবে তা কল্পনাও করা যায় না।

সুশৃঙ্খল নেতার বিশাল কর্মী বাহিনীও সুশৃঙ্খল। সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই রাজনীতি করবে সকল নেতাকর্মী। বলা যায় লালদীঘির পানি যেমন মুখের বলাতে লাল হলেও বাস্তবতার জায়গায় লাল নয়, তেমনি ভাবে মাথায় টুপি দিলেও মাওলানা হয় না, ভেতরটা পবিত্র হয় না। অনেকেই নিজের অপকর্ম আড়াল করতেই সব সময় মাথায় টুপি দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেন। সাধারণকে ধোকা দেওয়ার অপকৌশলের ভেতর থাকেন, আর সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়ে সোনালী ব্যাংকের অন্দরে ঢোকে পড়েন..।

জয় বাংলা।

লেখক: সৈয়দুল কাদের, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক; মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ।