আগেরদিন ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ভূট্টু প্রেরিত এক তারবার্তায় ভুট্টু ঢাকায় আসতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছিলেন। আগের দিনের তারবার্তা মতে এদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে বৈঠক করেন ভূট্টু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে আলোচনা শেষ করে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আজগর খান করাচিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শেখ মুজিব হচ্ছেন পূর্ব আর পশ্চিমের ক্ষীয়মাণ সম্পর্কের শেষ সংলাপ। আজগর খান ঢাকায় কোনো পাকিস্তানের পতাকা দেখেননি বলেও জানান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে প্রচার, প্রসার ও চাপ বাড়তে থাকে। এদিন লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, পূর্ব পাকিস্তানে শক্তি প্রয়োগ নিষ্ফল ও বিপজ্জনক হবে। প্রতিবেদনে এই বলে সতর্ক করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বল প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক, তারা বল প্রয়োগ করতে পারে। অথচ তা হবে ভয়ংকর। বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় এ পত্রিকায় অনুরূপ সংবাদ প্রকাশ আমাদের মুক্তি সংগ্রামের শুরুর দিকের একটি বড় ধরনের সফলতা।
কয়েকদিন আগে থেকেই এখানে বসবাসকারী বিদেশীদের স্ব-স্ব দেশে ফেরত যাওয়া শুরু হয়। ১২ মার্চ জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গকে স্বদেশে প্রেরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের আহ্বানের পর সমগ্র বাংলায় বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠনের কাজ এগিয়ে চলছিল। একই সাথে মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থন দিয়ে বিবৃতি আসতেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এদিন কবি সুফিয়া কামালের সভাপতিত্বে সারা আলীর তোপখানা রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত মহিলা পরিষদের এক সভায় পাড়ায় পাড়ায় মহিলা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।