Advertisement


চোর ধরা পড়ার পরও বিচার পাচ্ছেনা কেরুনতলী বাজারের দুই ব্যবসায়ী


মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান,
কন্ট্রিবিউটর ।। গত ১৭ জানুয়ারি হোয়ানকের কেরুনতলী বাজারে গভীর রাতে দোকানের পেছনের টিন কেটে দুইটি দোকান চুরি করে চোরচক্র। চুরি করা দোকানের মধ্যে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের এবং অপরটি কুলিংকর্ণার। জানা যায়- দোকানে থাকা মালামাল এবং ক্যাশে থাকা সব টাকা চুরি হয়।

দোকানদার প্রদীপ এবং সোহেল জানান- গত ১৭ তারিখ আমরা প্রতিদিনের মতো রাতে দোকান থেকে বাড়িতে চলে যাই। যথাসময়ে সকালে দোকানের তালা খুলে দেখি আমাদের দোকানের মালপত্র এবং ক্যাশে থাকা টাকা কিছুই নেই। খেয়াল করে দেখি পেছনের টিন কেটে চোর ঢুকলো। সাথে সাথে বিষয়টি বাজার কমিটির সভাপতিকে আমরা অবগত করি। আমাদের সামনে বাজার কমিটির সভাপতি ডিউটিতে থাকা দুই পাহারাদারকে ডাকে। এতে পাহারাদার বলে আমরা পেছনে কি করে দেখব? সামনেরটাই তো দেখি।

দোকানদাররা চুরি হওয়া বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করার কয়েকদিন পর, গোপনসূত্রে খবর নিয়ে চোর সনাক্ত হয়। তখন চোরকে নিয়ে জনপ্রতিনিধির নিকট যায় দুই দোকানদার। চোরের পরিচয় -হোয়ানকের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের মৃত মমতাজ এর কনিষ্ট পুত্র আল মোস্তফা।

ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর জনপ্রতিনিধি এবং বাজার কমিটির সভাপতি বিচার করবে বলে বলে এখনো চোরের বিচারটা করে নাই। এখন দোকানের মালপত্র হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আছে দুই দোকানদার। চোরকে ধরার পরও পাচ্ছে না কোনো বিচার -এ নিয়ে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিচারকগণ বিচার ব্যবস্থায় অবহেলা করায়, দোকানদার সোহেল এবং প্রদীপ মহেশখালী থানার হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন।