Advertisement


মহেশখালীতে প্রধান সড়কের চেয়ে বালিখেকোরা বড়ো?

মহেশখালীতে অতিরিক্ত বালি উত্তোলনে ভাঙ্গনেরমুখে প্রধান সড়ক; নজর নেই প্রশাসনের


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ধলঘাট পাড়া সংলগ্ন গোরকঘাটা- জনতাবাজার প্রধান সড়কের পাশ থেকে বালিখেকোরা অতিরিক্ত বালি উত্তোলন করে পাচারের ফলে হুমকির মুখে পড়ছে মহেশখালীর প্রধান সড়ক। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এ সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের এ অবস্থা সৃষ্টি হলেও এ নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি নেই। দীর্ঘদিন ধরে দিন-দুপুরে প্রকাশ্য বালিখেকোরা সড়কের পাশ থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করার ফলে সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিলেও নজরে পড়েনি প্রশাসনের। ফলে বালুখেকোরা দেদারসে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী বর্ষায় সড়কের নজক অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে অনেকের অভিমত। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের অভিযানের দাবি জানান।  

সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের আপ্রাণ চেষ্টায় টেকসই ভাবে এ সড়কটি সংস্কার করা হয়। গত বছরের ১০ নভেম্বর ’জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৭.২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি প্রায় ৫৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। সড়কটি উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই  সড়কটি টেকসই হওয়ায় মহেশখালীবাসী বেশ আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু সড়কটির পাশ থেকে কয়েকটি স্থানে বালিখেকোরা বালি উত্তোলন করে বিক্রির জন্য সড়কটি দিনে দিনে ভেঙ্গে যাচ্ছে। আগামী বর্ষায় এ অবস্থা আরও করুণ হবে বলে অনেকের অভিমত।  

স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ধলঘাট পাড়ার পানি চলাচলের প্রণালি বালি থাকে। কয়েকজন চিহ্নিত বালিখেকো অবৈধ ভাবে সড়কের পাশ থেকে এ বালি উত্তোলন করে ডাম্পার যোগে বিক্রির করায় প্রধান সড়কটিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সড়কটি রক্ষা করা কঠিন হবে।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাইফুল ইসলাম জানান- যে বা যারা বালি উত্তোলন করতেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। বালি উত্তোলন একটি অপরাধমূলক কাজ। এই কাজে কে বা কারা জড়িত সে তথ্য মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনকে দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়াও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বলে তথ্য দেন তিনি।