Advertisement


কালারমার ছড়ায় ভোটের মাঠে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য

চোর-ডাকাত, জলদুস্য, দুর্নীতিবাজ, মাদক কারবারি  অস্ত্র ও হত্যা মামলার আসামিরা প্রার্থী হওয়ায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শংঙ্কা


রকিয়ত উল্লাহ।। কালারমার ছড়ায়  সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ,মাদককারবারী, চোর-ডাকাত, জলদস্যু, অস্ত্র, হত্যা মামলা আসামীসহ অনেক অপরাধী আসন্ন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  প্রার্থী হওয়ার এ ধরণের উত্তেজনা বিরাজ করছে ইউনিয়ন জুড়ে। এসব প্রার্থীর পক্ষেও ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে চিহ্নিত অপরাধীদের। বিশেষ করে মেম্বার পদে এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার করতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাড়ার মহল্লার অবস্থা করতেছে বলে জানা যাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে শংঙ্কা প্রকাশ করছে খোদ কয়েকজন প্রার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৭নং ওয়ার্ডের কয়েকজন প্রার্থী বলেন- হত্যা মামলাসহ এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে অস্ত্র উদ্ধারসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এছাড়াও আঁধার ঘোনা, নোনাছড়ি, ফকিরজুম পাড়া, সামিরা ঘোনা, অফিস পাড়া, মোঃ শাহ ঘোনা, নয়া পাড়া, ঝাপুয়া, চিকনীপাড়া, আফজলিয়া পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভোটের মাঠে সন্ত্রাসীদের আনা ঘোনা বৃদ্ধি পেয়েছে।  এসব এলাকায় নিয়মিত পুলিশের টহল রাখার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।  

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে অস্ত্রসস্ত্র  নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছে বলে ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা যায়৷

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়- আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নিয়ে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, মেম্বার পদে ৮৩ জন ও মহিলা মেম্বার পদে ১৭ জন সহ মোট ১০৯ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী অনেকেই দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাত,  মাদককারবারী,অস্ত্র ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামি।  এছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সন্নিহিত বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হয়ে অস্ত্রধারী রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরাও ভোটের মাঠে সময় দিচ্ছে এবং নিজের প্রার্থীর পক্ষে সাধারণ ভোটারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।

কালারমার ছড়া ঝাপুয়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, উৎসব মুখর ভোটে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে। তাই সুষ্টু ভোট নিয়ে একটু চিন্তিত।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন- সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সস্পন্ন করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।  ভোটারদের নিরাপত্তা ও নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদেন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান, ভোটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই কালারমার ছড়ার পুলিশের টহল রয়েছে ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।