Advertisement


মহেশখালীসহ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' বাড়ানো হয়েছে সর্তক সংকেত


রকিয়ত উল্লাহ।। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকাসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলসহ মহেশখালীর দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আবহাওয়া অফিস থেকে বাড়োনো হয়েছে সর্তক সংকেত। কক্সবাজার উপকূল থেকে মাত্র ১১৭৫ কিলোমিটারে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় অশনি ১১মেই আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করেন।  এর জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীর উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উদ্যোগ নিচ্ছে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি।


সূত্রে জানা যায় গভীর নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরে  উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কি.মি. দক্ষিণ - দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৭৫ কি.মি. দক্ষিণ - দক্ষিণপশ্চিমে , মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল । ৮ মে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।  ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় ৫৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিঃমিঃ যা দম্‌কা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে ।  এজন্যই চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের  পরিবর্তে ০২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে ।

দুর্যোগ প্রবণ এলাকা ও অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে মহেশখালীর প্রায় ৫ লাখ মানুষ। বিশেষ করে উপজেলার ধলঘাট,মাতারবাড়ি, ও কুতুবজোমে অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমাল,ঘরবাড়ি,গবাদিপশুসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভেসে যায়। বারবার টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি উঠলে গত বছর মাতারবাড়ির  ক্ষতিগ্রস্থ  এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শেনে তারা জানিয়েছিলেন মাতারবাড়ি ও  ধলঘাটায় ১৭.৭৫ কিলোমিটার সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই শুরু হবে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটায় সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ। কিন্তু সময়ে গড়িয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি সুপার-ডাইক বেড়িবাঁধের কাজ। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে  দ্বীপের ৫ লক্ষাধিক মানুষ।  

ধলঘাট ও  মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান  ও আবু হায়দার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসাবে সাইক্লোন শেল্টার গুলোর খোলা রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি মানুষকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সুপার ডাইক বেড়িবাঁধের আগে হলেও অরক্ষিত বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ দিয়ে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

মহেশখালী উপজেলার সিপিপির টিম লিড়ার ডাঃ ওসমান সরওয়ার বলেন, মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় অশনি উপলক্ষে  উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সকল সিপিপির সেচ্ছাসেবকদের  ঘূর্ণিঝড় মোকেবেলায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা  হচ্ছে।

দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রাণালয়ের আওতাধিন মহেশখালী উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকেবেলা করতে ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে পাশাপাশি সাইক্লোন শেল্টার গুলো প্রস্তুত রাখা সহ মাইকিং করে ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলা সচেতনতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।