Advertisement


নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে মহেশখালীর ৩২ ভোটকেন্দ্র


এম বশির উল্লাহ,কন্ট্রিবিউটর ।। আজ নির্বাচন কমিশনের তফসীল অনুযায়ী নবম ধাপের দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি ইউনিয়ন হলো মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ও কালারমার ছড়া ইউনিয়ন। উক্ত দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।


 ১৫ জুন [বুধবার] সকাল ০৮টা থেকে বিকাল ০৪টা পর্যন্ত একটানা ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

আয়তন এবং ভোটার সংখ্যার দিক দিয়ে দুই ইউনিয়ন বড় হলেও এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি।

মহেশখালীতে এবারই প্রথম ইউপি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উক্ত দুই ইউনিয়নে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়া এ দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলার দুটি (বড় মহেশখালী ও কালারমার ছড়া) ইউনিয়নে মোট ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ১৯২টি বুথ কক্ষে ইভিএম এর মাধ্যমে ৬৮  হাজার ৫৪২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বড় মহেশখালী ও কালারমার ছড়া ইউপি নির্বাচনের সকল ভোটকেন্দ্রে ৩২ জন প্রিজাইডিং, ১৯২জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৩৮৪ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন।

মহেশখালী উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল জানান, নির্বাচন কমিশনের তফসীল অনুযায়ী নবম ধাপে মহেশখালী উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৫জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।দুটি ইউনিয়নের নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে পৌঁছানোর যাবতীয় কাজ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সুষ্টু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং আনসার নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া ভোটগ্রহণের সময় র‌্যাবের টিম ও বিজিবির টহল দলসহ সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচনের সময়ে কোনো প্রকার অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক শান্তির জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবেন। এ নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসা এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান- ছোট মহেশখালী ইউপি নির্বাচনের মত পুলিশের বুকে থাকবে ভিড়িও ক্যামরা। ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলেই অটোমেটিক হাজির হয়ে যাবে প্রশাসন।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই (পিপিএম) জানান- ভোটাররা যাতে নিরাপত্তার সাথে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।