পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন, মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ ওসি প্রণব কুমার ও পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল এসে স্থানীয়দের বুঝিয়ে উত্তেজনাপূর্ন পরিস্থিতি শান্ত করেন। এবং সেখানেই গতকাল থেকে দিনের বেলায় আর কোনো ডাম্পার চলাচল করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত দেন ইউএনও।
ঘটনাস্থলে ইউএনও বলেন, কোনো অবস্থাতেই মহেশখালীতে দিনের বেলায় আর কোনো ডাম্পার চলাচল করতে পারবে না, কেউ আদেশ অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে মরণঘাতী গাড়িগুলো চলতে দেখা গেলে জনগনই গাড়ি আটক করতে পারবে এবং সকল গাড়ি ও ড্রাইভার লাইসেন্স তল্লাশি করবে বলে জানান। সেইসাথে বড় মহেশখালীর নতুন বাজারে পুলিশ বক্স বসানো হবে বলেও আশ্বাস দেন ইউএনও ইয়াছিন।
ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত যাবতীয় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা আনোয়ার চৌধুরী। এসময় ডাম্পার ছাড়াও সকল যানবাহনের অদক্ষ চালকদের চিহ্নিত করে সড়কে তাদের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। শিশু নিহতের বর্ণনা দিয়ে স্বপনের বেপরোয়া গাড়ি ও ড্রাইভার ইতোপূর্বেও অনেক শিশুর প্রাণ নিয়েছে জানিয়ে গাড়ির মালিকসহ ড্রাইভারকে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান উপজেলা আ.লীগের এ নেতা।