Advertisement


মহেশখালীতে নির্মাণাধীন ব্রীজে নিম্নমানের রেলবার পিলার ভেঙে দিলেন প্রকৌশলী!


রকিয়ত উল্লাহ,
মহেশখালী।। মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে এলজিইডি কর্তৃক সিপাহীর পাড়া সড়কের  ব্রীজে নিম্নমানের লোহা, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে রেলবার তৈরির অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি রেলবার পিলার ভেঙ্গে দিয়েছেন মহেশখালী উপজেলার প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নানা ভাবে হুশিয়ারি করা হয় বলে জানা যায়। গত ১২ অগাস্ট শনিবার সকাল ১১ টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সূত্রে জানা যায়,  মহেশখালী উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্তৃক নির্মিত ছোট মহেশখালীর সিপাহীর পাড়ার প্রধান সড়কের ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৫২ লাখ। কাজটি পায় কক্সবাজারে মো. আসাদের মালিকানাধীন আসাদ এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা কাজটি একরাম নামে এক ব্যক্তিকে সাব-ঠিকাদার হিসাবে দেন। কয়েকমাস আগে শুরু হয় ব্রীজ নির্মাণের কাজ। কিন্তু ব্রীজ নির্মাণে সাব-ঠিকাদারে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসারের লোকজনের জানলে প্রকৌশলী সবুজ কুমারকে জানালে সাথে সাথে তিনি উক্ত ব্রীজ পরিদর্শনে যান। সেখানে বেশ কয়েকটি রেলবারে কম লোহা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পেলে তা নিজ হাতেই  ভেঙে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন বলে জানা যায়।  


স্থানীয়রা জানান, ব্রীজ নির্মাণে কম ও দুর্বল লোহা দিয়ে রেলবার ও নিম্নমানের বালি সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার এসেই সব পিলার ভেঙ্গে দেন এবং কাজ বন্ধ করে দেন। এটাকে ভালো উদ্যোগ বলে জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার জানান, কয়েকদিন ধরে আমাদের অফিসকে অবগত না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রীজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসাবে ছোট মহেশখালীর সিপাহী পাড়ার ব্রীজে পরিদর্শনে গেলে নিম্ন মানের কাজ পরিলক্ষিত হলে তা ভেঙে দেওয়া হয় এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে বলে জানান।