Advertisement


বড় মহেশখালী নতুন বাজারের পুরানো জট খুললেন পুলিশ


মাহবুব রোকন ।। 

মহেশখালী উপজেলার ব্যস্ততম বাজার এলাকা বড় মহেশখালী নতুন বাজার এলাকায় ফুটপাত দখল ও যানজটের পটভূমিতে নাগরিক হয়রানি নিরসনের উদ্যোগ নিলেন মহেশখালী থানা পুলিশ। আজ (রোববার) সকাল থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যানজট নিরসন ও বাজার পরিচ্ছন্ন করার কাজে নেমে পড়েন মহেশখালী থানা পুলিশ। সকাল থেকে শুরু হয়ে শেষদুপুর পর্যন্ত  চলে এ অভিযান। পুলিশ জানিয়েছে- দীর্ঘ দিন থেকে মহেশখালীর অন্যতম এ ব্যস্ত বাজার এলাকাটিতে অবৈধ দখল ও শৃঙ্খলাহীনতার কারণে জন দুর্ভোগ চলে আসছিলো, এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ নিরসনে উদ্যোগ নিলো পুলিশ। অভিযানের সময় একটি টমটম আটক করা হয়েছে।  

সূত্র জানানায় - মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর নতুন বাজারটি উপজেলার একটি ব্যস্ততম প্রধান বাজার। বাজারের ইজারাদারের অতিলোভ, বাজারের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতি বা সংগঠনগুলোর দায়িত্বহীনতাসহ ব্যবসায়ীদের উদাসীনতার কারণে সম্পূর্ণ বাজার এলাকাটি একটি ভাগাড়ে পরিণত হয়। মহেশখালীর প্রধান সড়কের উপর বাজারটির অবস্থান হওয়ায় সড়কের এ অংশ দিয়ে যান চলাচলেও দীর্ঘ ভোগান্তি চলে আসছিলো। এ অবস্থায় পুলিশ এমন অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী। 

ওসি জানান- মহেশখালীর প্রধান সড়কের নতুন বাজার অংশে অপরিকল্পিত ব্যবস্থার কারণে তীব্র যানজট লেগে থাকতো। যান জটের কারণে সড়কের এই বাজার অংশটি পার হতে একটি গাড়ির অতিরিক্ত আধা ঘণ্টা সময় বেশী লাগতো। এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাতের উপর গড়ে ওঠা ব্যবসা শেড ও ফলবিক্রির ভাসমান দোকানের কারণে প্রতিনিয়ত যানজটে কষ্ট পেতো মানুষ। জরুরি রুগিসহ সব ধরণের জরুরি যাতায়াত বাঁধাগ্রস্ত হতো। তাই জনগণের ভোগান্তি নিরসনে গড়ে ওঠা এই সব অবৈধ ব্যাসায়িক শেড সরিয়ে দিয়ে ফুটপাত পরিষ্কার করা হয়েছে। সড়কের উপর পার্কিং করা গাড়িও সরিয়ে দেওয়া হয়। মাংস বিক্রির শেড, ভাসমান ফলের দোকানসহ আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করে গড়ি পার্কের জন্য জায়গা খালি করা হয়। ওই খালি জায়গায়ই এখন থেকে ক্ষুদ্র পরিবহনগুলো পার্ক করা থাকবে। ওসি মহেশখালীবাসীর প্রতি বার্তা দিয়ে বলেন- মহেশখালীতে বর্তমানে অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও কিশোর গাড়ি চালানোর কাজে যুক্ত, এটি একটি ভয়ঙ্কর বিষয়। ১৮ বছর বয়সের নিচে কেউ গাড়ি না চালানোর জন্য পরামর্শ দেন তিনি। অভিযানের সময় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) আটক করে পুলিশ। ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর চালক টমটমটি চালাচিছলো বলে ওসি জানান। ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন- পুলিশের এ অভিযানের পর পুলিশ বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখবে, কেউ আবারও পূর্বাবস্থায় ফিরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে পরবর্তীতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রধান সড়ক ব্যবহারকারী বিভিন্ন এলাকার লোকজন- দীর্ঘ দিন পরে হলেও পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বাজারের স্থানীয় ইজারাদার, বাজারের সমিতিগুলোর কথিত নেতা ও অসুভ মানসিকতার ব্যবসায়ীরা অল্প দিনের ভেতরে এ সংকট আবারও সৃষ্টি করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে থানা ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এ বিষয়ে বড় মহেশখালী বনিক সমিতির সভাপতি সিরাজ মিয়া বাশি- পুলিশের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান, আগামীতে বাজারের এ অবস্থা বজায় রাখতে তিনি আন্তরিক হবেন কি না জানতে চাইলে -তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান। তিনি এ অবস্থার জন্য বাজারের বর্তমান ইজারাদারকে দোষারোপ করেন। বাজারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফা আনোয়ার জানান- পুলিশের এটি একটি ভালো উদ্যোগ, তবে তিনি কিছু দিন পরই এ সব পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত ইজারামূল্যে বাজার নিলাম হওয়ায় এ সংকট যাচ্ছে না বলে তিনি মনে করন।