এম বশির উল্লাহ।। বেশি আয়ের উৎস দেখিয়ে মালয়েশিয়া চাকরী নিয়ে গিয়ে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মহেশখালীর ১০ যুবককে নিয়ে গিছে স্থানীয় একটি দালাল চক্র। এঘটনায় স্থানীয়রা এক দালালকে আটক করে র্যাবকে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। এঘটনায় এলাকা জুড়ে কান্নাররোল পড়েছে। মুলত যে ১০ জনকে নিয়ে গেছে দালাল চক্র ওখানে স্কুল ছাত্র ও কলেজ পড়ুয়া রয়েছে দুই জন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, উপজেলার বড় মহেশখালীর দেবেঙ্গা পাড়ার হাবিব উল্লাহ পুত্র মানব পাচারকারী সরফরাজ সহ এলাকার একটি মানবপাচারকারী সিন্টিকেট র্দীঘদিন ধরে মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অবুঝ বালকদের তারা ফুসলিয়ে মুলত জিম্মি করে তাদের অবিভাবকদের কাজ থেকে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে।
সংবাদসম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত(সোমবার) মহেশখালী থেকে নিয়ে যাওয়া লোকজনকে পরিবারের পক্ষ থেকে ফেরত চাইলেও সে সব লোকজনকে ফেরত দিচ্ছে না দালালচক্রের সদস্যরা। বর্তমানে টেকনাফের শামলাপুর এলাকায় দালালদের একটি আস্তানায় তাদের বন্ধি রাখা হয়েছে। -ওখানে বন্ধি থাকা একজনের সাথে মোবাইলে কথা বলে ও মহেশখালীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বড় মহেশখালীর দেবাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনচারুল করিম জানান -তার সন্তান শাকের উল্লাহ এলাকায় তার সাথে কৃষি কাজ করতো। প্রতিদিন কাজ শেষে শাকের উল্লাহ বাড়ি ফিরলেও (সোমবার) কাজ শেষে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা জানতে পারে এলাকার সরফরাজ নামের এক আদমপাচরকারি তার সন্তান শাকের উল্লাহসহ এলাকার ১০ জনকে গোপনে জড়ো করে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য টেকনাফ নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তারা মানবপাচারকারী সরফরাজের বাবা হাবিব উল্লাহকে বিষয়টি জানান এবং যে কোনো মূল্যে তাদের সস্তানকে ফেরত চান। পরে পাচারকারীদের সাথে একাধিক দফায় কথা বলে তারা পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া শাকের উল্লাহ সহ ১০ যুবককে ফেরত দিবে বলে জানায়। গত (মঙ্গলবার) সকালে তাকে ফেরত আনার জন্য মহেশখালী থেকে লোকজন টেকনাফ যান। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও পাচারকারীরা তাদের দেয়নি। ওই দিন রাতে মহেশখালী ফিরে আসেন তারা মহেশখালী থানায় লিখিত এজ্হাার করে পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগি স্বজনরা আরো জানান- তাদের সন্তানসহ পশ্চিম দেবাঙ্গাপাড়া থেকে ৫জন ও পাশের গ্রাম পূর্ব মুন্সিরডেইল থেকে আরও ৫জনকে পাচারের জন্য একসাথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর বাইরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোক নিয়ে যেতে পারে বলেও তারা আশংকা প্রকাশ করেন। এই বিষয় নিয়ে গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) দেবেঙ্গা পাড়ায় এলাকায় অপহরনের শিকার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলণ করে তাদের ছেলেদের ফেরত চান এবং দালালদেরে শান্তি দাবী করেন।
দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হওয়া ১০ যুকবরা হলেন, বড় মহেশখালীর মুন্সির ডেইল এলাকার নুরুল হকের পুত্র টিপু আলম (১৯), মৃত হোছনের পুত্র মো: পারভেজ (২০), আবুল কালামের পুত্র সফি আলম(১৮), কামাল পাশার পুত্র এখলাছ মিয়া (২১), রাহামত উল্লাহ পুত্র মিজানুর রহমান (১৯), দেবাঙ্গা পাড়া এলাকার আনছারুল হকের পুত্র সাকের উল্লাহ (১৭) ৭ম শ্রেণীর ছাত্র সেই, আব্দু শুক্কুরের কলেজ পড়ুয়া পুত্র ছালামত উল্লাহ (২১), বখতিয়া মিয়ার পুত্র ফয়সাল (১৯), ছৈয়দ কবিরের পুত্র মো: মাহিম (২১), আব্দু ছামদের পুত্র রাকিবুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন- এই বিষয়ে একটি এজাহার পাওয়া গেছে, বিষয়টি নিয়ে অদিকতর তদন্ত করা হচ্ছে ।