Advertisement


শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারাল শ্রীলংকা

 

জিতলে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার পথ সুগম হবে। হারলেই বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণকে সামনে রেখে ভারতকে হারাল শ্রীলংকা।

রোহিত শর্মার দলকে এশিয়া কাপের ফাইনালে পথ কঠিন করে দিল দাসুন শানাকার দল।

আগে ব্যাট করে দিলশান-করুণারত্নেদের বোলিং তোপে তেমন একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ভারত।  ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে সমর্থ হয় টিম ইন্ডিয়া।

আর ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে পার করে দেয় লঙ্কান ব্যাটাররা।

১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলে ১ রান নেন শানাকা। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন ভানুকা। তার পরেই ২টি ওয়াইড বল করেন ভুবি। তৃতীয় বলে চার মারেন শানাকা। চতুর্থ বলে ফের চার মারেন দাসুন। পঞ্চম বলে ১ রান নেন শানাকা। শেষ বলে ১ রান নেন ভানুকা। ওভারে মোট ১৪ রান ওঠে। ১৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪ উইকেটে ১৬৭ রান।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৭ রান দরকার শ্রীলংকা। পেসার আর্শদীপের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচের মতো আজকেও পারলেন না তিনি।

আর্শদীপের প্রথম বলে ১ রান নেন ভানুকা। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন শানাকা। তৃতীয় বলে ২ রান নেন ভানুকা। জয়ের জন্য ৩ বলে ৩ রান দরকার শ্রীলংকার। চতুর্থ বলে ১ রান নেন রাজাপাকসে। পঞ্চম বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি শানাকা। তবে রান নেওয়ার জন্য দৌড়ান দুই ব্যাটার। পন্ত রান-আউটের জন্য বল ছুঁড়ে স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। আর্শদীপও নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে বল ছুঁড়ে স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। শ্রীলংকা ২ রানের জন্য দৌড়ায় এবং এক বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলংকা।  

শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। ওপেনিংয়ে নেমে চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩৭ বলে  ৫৭ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার। তিনিও চাহালের শিকার। ৩৭ বলে করেন ৫২ রান।

শেষদিকে রাজাপাকসে ও অধিনায়ক শানাকা দারুণ জুটি গড়েন। রাজাপাকসে ও শানাকা দুজনেই অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ১৭ বলে ২৫ ও ১৮ বলে ৩৩ রানে।

 এর আগে মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৩ রানে লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত।

এরপর সুরাইয়া কুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১২.২ ওভারে দুই উইকেটে ১১০ রান করা ভারত এরপর ৬৩ রানের ব্যবধানে হারায় ৬ উইকেট। ইনিংসের শেষদিকে নিয়মিত উইকেট পতনের কারণে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করে এশিয়া কাপের রেকর্ড ৭ আসরের শিরোপাজয়ী দলটি।