Advertisement


কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা থেকে একাধিক জলদস্যু আটক


লেটনাইট এডিটর।। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকা থেকে সোনাদিয়া যাওয়ার সময় একাধিক জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে। রাতে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক দস্যুরা সোনাদিয়া, পেকুয়া ও বাঁশখালীর বাসিন্দা। এ নিয়ে মহেশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান- কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সোনাদিয়ার মেম্বার একরাম মিয়া কালামিয়া বাজার থেকে তাজিয়াকাটার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার আগে থেকে পরিচিত কথিত চিহ্নিত চার ডাকাত সিএনজিযোগে ঘটিভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তাজিয়াকাটার স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলো মোঃ ইছহাক পিতা- জাগীর হোসেন, সোনাদিয়া পূর্বপাড়া ২নং ওয়ার্ড, মোহাম্মদ তোহেল, পিতা -সৈয়দুল করিম, পেকুয়া মগনামা ৫ নং ওয়ার্ড, -পেকুয়া, বাহার উদ্দিন, পিতা আবু তাহের, ছনুয়া ৪ নং ওয়ার্ড, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম ও  রেজাউল আজিম, পিতা- খালেদ, ছনুয়া ৫ নং ওয়ার্ড বাঁশখালী চট্টগ্রাম।

ওসি জানান- পুলিশের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায় মোঃ ইছহাকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে। যা ২০১১ সালের এবং আরেকটি সরকারি কর্মচারীকে বাধা প্রদান এবং মারধরের মামলা রয়েছে, যা ২০১৩ সালের। বাহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় ২০২০ সালে একটি অস্ত্র মামলা এবং ২০২১ সালে একটি মারধরের মামলা আছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ওসি জানান- জেলে হিসেবে মাছ আহরণের আড়ালে তারা সাগরে গিয়ে বোট ডাকাতির সাথে জড়িত।  

পুলিশ জানায়- তাদের শনাক্ত করা মেম্বার একরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে র‌্যাবের করা একটি অস্ত্র মামলা ও বনবিভাগ এর মামলা রয়েছে।

থানা সূত্র জানায়- রাতে এ চার ব্যক্তিকে আটক করার সময় এলাকার প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভোররাত ৪টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় এ নিয়ে থানায় যাচাই-বাছাই এর প্রক্রিয়া চলছে, পরবর্তীতে অভিযোগ প্রাপ্তি এবং ঘটনার আরো সত্যতা সাপেক্ষে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা নেওয়া হবে। মেম্বার একরাম মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা করবে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।