ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রাম থেকে।।
চট্টগ্রাম নগীরর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন মোড়, আলোকসজ্জায় সেজেছে নবরূপে, রাস্তার দুপাশেই ঝলমলে আলো। দিন পেরিয়ে রাত পেরুলেই লাখো মানুষের সমাগমে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখরিত হবে নগরীর এ জনপদসহ বেশ কটি সড়ক।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আগম উপলক্ষ্যে ১২ রবিউল আউয়াল তথা ৯ অক্টোবর দিবসটি চট্টগ্রামসহ বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে বিশেষ দিন, তাইতো বিশেষভাবে দিবসটি উদযাপন করতে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ও আনজুমানে রাহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের যৌথ ব্যবস্থাপনায় নেওয়া হয়েছে সব ধরণের প্রস্তুতি।
দেশীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম নিয়ে দীর্ঘদিন ৫০ বছর ধরে এ দিবসটি জসনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবি স্লোগানে পালিত হয়ে আসছে৷ এবারে চট্টগ্রামের ইদে মিল্লাদুন্নবীতে মেহমান হিসেবে রয়েছেন এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হযরত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্৷ ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে পোঁছেছেনও তিনি। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার আলমগীর খানকাহ শরীফে পৌঁছান তিনি।
মিলাদুন্নবীতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শিক্ষার স্বপ্ন দেখেন জুলুশে যোগ দেয়া মহানবীর অনুসারীরা। পাশাপাশি ধর্মীয় আলোচক ও প্রভাষক মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম কাদেরি বলছেন, ঈদে মিলাদুন্নবী কোরআন সমর্থিত একটি ইসলামিক অনুষ্ঠান। একই সাথে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ নিয়ে উদযাপিত হওয়া এ বিশেষ দিনটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেবার দাবি এ আলোচকের।
১৯৭৪ সালে নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ এ জুলুসের সূচনা করেন। সেই থেকে আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল এ জুলুস পালন করা হয়। আগামিকাল ১২ই রবিউল আওয়াল সকাল থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হামদ-নাত আর দরুদ মুখর পরিবেশে জুলুসে অংশ নিবেন। এ উপলক্ষে নগরীতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ।