Advertisement


বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে কালারমার ছড়া টমটম লাইন, বিপুল টাকার চাঁদবাজি; ভাগ যায় বিভিন্ন স্থানে


নিজস্ব প্রতিবেদক।। কালারমার ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কের উপর ২ জন লাইনম্যান নিয়োগ করে প্রতিদিন টমটম থেকে টমটম মালিক সমিতির নাম দিয়ে চাঁদবাজি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। তাদের থেকেই আবার প্রতিমাসে মাসোহারা যায় বিভিন্ন স্থানে। এই চক্রটির আয়ের খাতার হিসেব দেখে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়- টমটম মালিক সমিতির নাম দিয়ে কয়েকবছর ধরেই টমটম থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদবাজি করে আসছে কালারমা ছড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ বহু মামলার আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন বাচ্চু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করা মোহাম্মদ আমিনের এর পূত্র আব্দু রশিদের নিয়ন্ত্রণে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। তারা নিজস্ব লাইনম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫০টি টমটম থেকে দৈনিক ১০ টাকা করে ২৫০০ টাকা এবং প্রতিমাসে ৭৫ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়- গত ৮ সেপ্টেম্বর হতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তারা টমটম থেকে খরচ বাদ দিয়ে  চাঁদা তুলে তারা আয় করেছে ৬০ হাজার টাকা। এ জন্য তাদের রয়েছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট। হিসেব দেখে জানা গেছে- এখানে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের নামে ৫ হাজার, নুরুল আমিন বাচ্চুর নামে ২৫ হাজার টাকা, সদস্য সেলিম ১ হাজার টাকা ,জমির ১ হাজার টাকা ,জিয়াবুল ১ হাজার টাকা, নু'দা ১ হাজার টাকা, আবু জাফর ১নহাজার টাকা, আরিফ ১ হাজার টাকা, নুর মোহাম্মদ ১ হাজার টাকা, জয়ের মা ২ হাজার  টাকা এবং রশিদের নামে ২৫ হাজার টাকা, নয়া পাড়ায় নাগু, ওসমান ও কালুর নামে ৩ হাজার টাকা ও বেলাল ১ হাজার টাকা করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

অভিযোগ রয়েছে- অথচ কোন টমটম গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বা তাদের মালিক বা শ্রমিকের উন্নয়নের জন্য কোন টাকা খরচ করে না এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগী কয়েকজন টমটম চালকের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল আমিন বাচ্চু বলেন- শুধু কালামার ছড়া ইউনিয়ন নয় মহেশখালীর প্রতিটি ইউনিয়নের টমটমের লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আমাদের অনুমতি দিয়েছেন। শুধু আমাদের ইউনিয়নের চাঁদা আদায়ের বিষয়টি কেন জানতে চাচ্ছেন? নিউজ করলে সবার নামে করেন, সব সংগঠনের বিরুদ্ধে করেন বলে ফোন লাইন কেটে দেন তিনি।

টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আব্দুর রশিদ জানান, শুধু আমি না অনেকেই এখান থেকে টাকা নেন, অন্ততঃ ১০-১৫ জন এই টাকার ভাগ নেন বলে জানান তিনি।

বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী।