Advertisement


মহেশখালীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের নামে চলছে লটারির কূপন বিক্রির হিড়িক

হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা


আ ন ম হাসান।। বড় মহেশখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩ উদযাপনের নামে চলছে লটারি বাণিজ্য। এ নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনিক সূত্র বলছে- এমন র‌্যাফেল-ড্র আয়োজনের বিষয়ে প্রশাসনের অনুমোদন নেই। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে- মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, স্মার্ট ফোন, বাইসাইকেল, সেলাইমেশিনসহ বিভিন্ন পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে বড় মহেশখালী নতুন বাজারে প্রধান সড়কের পাশে গাড়ির স্টেশনের জায়গায় স্টল বসিয়ে এই র‌্যাফেল ড্র এর বুথ বসানো হয়েছে। এই বুথে মাইক টাঙিয়ে লটারির কূপন বিক্রির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একই ভাবে গাড়িতে ব্যানার ঝুলিয়ে মাইকিং করে করে পাড়া মহল্লায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে আগামী ১০ জানুয়ারি  বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে উক্ত কমিটি। আর এ আয়োজনের নামেই চলছে লটারি বাণিজ্য।

গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে বেশি টিকেট। এই নিন্ম আয়ের জনবসতির পাশেই এ ধরণের লাকি কূপন র‌্যাফেল ড্র আয়োজন করায় ভাগ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখানো লোভে পড়ে অনেকই কুপন কিনে পকেট খালি করতেছে।

এসব বাম্পার পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে লাখ টাকার লটারি কূপন। শুধু মেলা নতুন বাজার নয়, এসব লটারি টমটম, মিশুক, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহনে করে বিক্রি করা হচ্ছে পুরো মহেশখালীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়ক গুলোতে। বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে লাকি কূপন বুথ।

ওয়াকিবহাল সূত্র বলছে- অবৈধ এ পদ্ধতি থেকে আয় হবে লাখ লাখ টাকা। এমন একটি বিতর্কিত লটারির নামে কূপন বিক্রির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর নাম ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি জুড়িয়ে দেওয়া রীতিমতো আশর্য্যজনক।

পোস্টার ও লাকি কূপনে দেওয়া তারিখের ভিত্তিতে জানা যায়, আগামী ১০ জানুয়ারি রাত ৯ টা ১ মিনিটে বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠে এই ড্র অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পোস্টার ও ব্যানারে দেওয়া একটি মোবাইল নম্বরে আয়োজক কমিটির সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- লটারির আয়োজক কারা সে বিষয়ে আমি অবগত নই এবং পরিষদেও কোন ধরনের অবহিত করা হয়নি ৷

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান- এ র‌্যাফেল-ড্র এর বিষয়টি প্রশাসন থেকে অনুমোদন নেই, বিষয়টি জানার পর এ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আপডেটঃ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত লাটারির কূপণ বিক্রির বিষয়টি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।