Advertisement


হোয়ানকে প্যারাবন কেটে শত শত একর সরকারি জায়গা দখল

* প্রতিদিন ৩-৪টি স্কেবেটার, ৩০০-৪০০ শ্রমিক দিয়ে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করা হচ্ছে  * নামে মাত্র অভিযান করে নিরব বন বিভাগ * জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের


রকিয়ত উল্লাহ।। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওয়াতাধীন গোরাকঘাটা রেঞ্জের ঝাপুয়া বিটের আওয়াতাধীন হোয়ানকের কালাগাজি পাড়ার বগাচতর ঘোনার লাগোয়া সরকারি প্যারাবনের শত শত বাইন গাছ কেটে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠেছে।


সূত্রে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে হোয়ানকের কালাগাজী পাড়ায় বন  বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে বগাচতর ঘোনার লাগোয়া সরকারি প্যারবনের শতশত বাইন গাছ কেটে  স্ক্রেবেটার দিয়ে প্রায় ৩০০ একর জায়গা দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করে আসছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।

স্থানীয়রা জানান- নাজেম উদ্দিন নাজু, মতিন, শাহাবুদ্দিন, কুতুবদিয়ার এরশাদসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রতিদিন ৪টি স্কেবেটার দিয়ে শতশত প্যারাবন কেটে প্রায় ৩০০ একর জায়গা দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে আসছে। কয়েকদিন আগে বন বিভাগের লোকজন উক্ত জায়গায় সরকারি প্যারবন কাটার স্থান পরিদর্শন করে চলে যায়। এর পর আবারও প্রভাবশালীরা শত শত শ্রমিক দিয়ে ও স্কেভেটার দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে আসলেও বন বিভাগের লোকজনের নিরব ভূমিকা প্রশ্নবৃদ্ধ। পরিবেশ ধ্বংসকারী ও সরকারি জায়গা দখলকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজু কোম্পানি প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে নিউজ করার জন্য বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

জানতে চাইলে ঝাপুয়া বিট কর্মকর্তা মাহাবুব জানান- কয়েকদিন আগে কালাগাজী পাড়ায় বগাচতরের লাগোয়া সরকারি প্যারাবনের বেশ কিছু গাছ কেটে চিংড়ি ঘের করার জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তা আমরা কেটে দিয়েছি।  প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় নাজু, শাহাব উদ্দিনসহ কুতুবদিয়ার বাসিন্দা এরশাদের নেতৃত্বে প্যারাবনের গাছ কাটার তথ্য পেয়েছি। আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করব। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মহেশখালী উপজেলার পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান- হোয়ানকের কালাগাজী পাড়ায় সরকারি প্যারাবন কেটে পরিবেশ ধ্বংসকারী চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও পরিবেশ ধ্বংস কারী। তাদেরকে  আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান- উক্ত জায়গায় বন বিভাগের লোকজন অভিযান পরিচালনা করে তাদের চিংড়ী ঘের নির্মাণ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।