Advertisement


হোয়ানকের প্যারাবনে বন বিভাগের অভিযান, ফাঁকা গুলিবর্ষণ


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর হোয়ানকের পানির ছড়ার পশ্চিমে অমাবশ্যা খালীর বেক্সিমকো ঘোনার সাথে লাগোয়া জনৈক শাহাব উদ্দিন এর অবৈধ ঘোনা এলাকায় আজ অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ। সরকারি প্যারাবনের হাজার হাজার বাইন গাছ কেটে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল নেওয়া বন বিভাগের জায়গা দখলমুক্ত করতে অবশেষে এ অভিযান পরিচালনা করেছে বন বিভাগ। 

সূত্র জানিয়েছে- আজ (২৬ জানুয়ারি) কাল ১১টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।  এসময় বিভাগের লোকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে গেলেও পরে তারা ফের জড়ো হয়। জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়।  

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের সরকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে মহেশখালী রেঞ্জর কর্মকর্তা, শাপলাপুর ও কালারমার ছড়া বিট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে প্রায় ১শ একর জায়গা দখল মুক্ত করা হয় বলে জানা যায়।


সূত্রে জানা যায়- এলাকায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন ব্যক্তির যোগসাজসে ও হোয়ানকের মোহরাকাটা এলাকায় জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধি পরিবারের সদস্য ভূমিদস্যু শাহাব উদ্দিন গংয়েরা সরকারি প্যারাবন কেটে অবৈধ ভাবে বন বিভাগের বিশাল জায়গা দখল করে।

সরকারি এই জায়গা দখলমুক্ত করতে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এদিকে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে পরিবেশ কর্মীরা বলেন- বন বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে। আর বন রক্ষা করতে বন বিভাগের বিকল্প নেই। তাই ভূমিদস্যুরা যাতে আবারও উক্ত জায়গা দখল নিতে না পারে তার জন্য আবারও বাগান করতে হবে এবং ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় আনতে হবে।  

এবিষয়ে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের এসিএফ সাইফুল ইসলাম মহেশখালী সব খবরকে বলেন- আমরা হোয়ানকের অবৈধভাবে দখলে থাকা সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চলে আসতেছি। অফিসে ফিরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান।

তবে অতিথের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো মনে করছেন- মাত্র কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এ বিশাল বাঁধ কেটে দেওয়া সম্ভব নয়। এ বাঁধ বিলিন করা সময় সাপেক্ষ ব্যপার, অবশ্যই তাও খননযন্ত্র বা স্ক্যাভেটর দিয়ে কাটতে হবে। তা না হলে এটা কনো ভাবেই দখলমুক্ত করা সম্ভব না। অতিথের মতো কাল বিলম্ব করে দখলদারদের স্বার্থ রক্ষ করলে মহেশখালীর সর্বনাশ হবে বলে মনে করেন তারা। তাই এ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে আরও উদ্যোগি হতে হবে৷