সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর কুতুবজোমের সোনাদিয়া প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর। সরকারের এই ঘোষণাকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালী, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একটি অংশকে ম্যানেজ করে সোনাদিয়া ও ঘড়িভাংগার কিছু ব্যক্তি শীতের মৌসুমের শুরুতে সোনাদিয়ায় রাত্রিযাপনসহ নানা প্যাকেজ ঘোষণা করে পর্যকট এনে ব্যবসা করে আসছিল।
এতেই পর্যটকেরা রাতে সাগরের কিনারায় আগুন জালিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে আসছিল। এছাড়াও গভীর রাতে বসে মাদকের আসর। কোন নিরাপত্তা ছাড়ায় নারী পর্যটককেরা রাত্রিযাপন করার কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মহেশখালীর কুতুবজোমের সোনাদিয়ায় সম্প্রীতি সময়ে মানব পাচার,ইয়াবা ও মাদক পাচার করে আসছিল কারবারিরা। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা নিয়মিত ট্রলার ডাকাতি করে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে সোনাদিয়ায় অবস্থান করে। এতে আইনশৃংখলা বাহিনী বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন জলদস্যুকে আটক করেছিলেন।
সোনাদিয়া একটি বিছিন্ন ও দুর্গম দ্বীপ হওয়ায় নেই কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন নিরাপত্তা ক্যাম্প। ফলে জলদস্যুরা নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে সোনাদিয়াকে বেচে নিয়েছে।
এরই মধ্যে পর্যটকদকের রাত্রিযাপনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে আবারও অনিরাপদ ভাবে পর্যটকদের রাত্রিযাপনে মেতে উঠছে সিন্ডিকেটটি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য একারাম মিয়া জানান, নারী মদ সহ পর্যটকেরা রাত্রিযাপন করে আসছে। ফলে সোনাদিয়া আবারও মাদককের সাম্রজ্য হিসাবে রুপ নিচ্ছে। তা বন্ধ করতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তা না মেনে আবারও রাত্রিযাপন করে কোন দএর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায় নিতে হবে বলে জানান।
এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী জানান, সোনাদিয়ায় নিরাপত্তা জনিত কারণে পর্যটকদের রাত্রিযাপনে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তা অমান্য করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবিঃ সোনাদিয়া বিষয়ে পুলিশের নিষেধের পর গতকাল তোলা।