মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ইতোমধ্যে দুটি জেটিতে ভিড়েছে শতাধিক জাহাজ। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল আমদানির জন্য ওই এলাকায় দুটি জেটি নির্মাণ করা হয়। জলরাশি শান্ত, স্থির রাখা, পলি জমে চ্যানেল ভরাট হওয়ার ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে মূলত ব্রেকওয়াটার তৈরি করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে জাহাজগুলো গড়ে ২ হাজার টিইইউস কনটেইনার বহন করে, অথচ মাতারবাড়ি বন্দরের জেটিতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টিইইউস কনটেইনারবাহী জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের এক অনুষ্ঠানে ২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গত ২২ জানুয়ারি পরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্যরা প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে একই তথ্য জানান।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের সাথে যুক্ত বন্দর কর্মকর্তারা জানান, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে দরপত্র খোলা হয়েছে। শীঘ্রই ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে শুরু হবে জেটি নির্মাণ কাজ। মাতারবাড়ি টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী মার্চে। মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ ১২,৮৯২ কোটি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল ২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের ২,৬৭১ কোটি টাকা। প্রকল্প নির্মাণের মেয়াদ ২০২১ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।