Advertisement


মহেশখালীতে রমজানে মানুষকে অতিষ্ঠ করে উন্নয়নের কালো ধোঁয়া


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর প্রবেশদ্বার চালিয়াতলী স্টেশনে শব্দ-বায়ু দূষণ করে পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কাপড় ও অন্যান্য ধাতু পুড়িয়ে পিচ ঢালাইয়ের বিটুমিন প্রক্রিয়া করছে উপজেলা এলজিইডি। ফলে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায়  চেয়ে গেছে পুরো এলাকা। এতে সাধারণ মানুষের জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে চালিয়াতলী বাজার এলাকায় খাবারের দোকান, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, গাছ পালা ও ঘরবাড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনায় কাপড় পুড়া ধোঁয়া ঢুকে কালো ধোঁয়ার আবরণ পড়া শুরু করেছে।

স্থানিয়দের অভিযোগ- পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়েই মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলীকে  অনৈতিক  সুবিধা দিয়ে এমন জনবসতিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবেশ ধ্বংসী কাজ করে আসছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও স্থানীয় কয়েকজন মাল সরবরাহকারীরা। তাদের দাবি দ্রুত এসব বন্ধ না করলে পরিবেশ ও মানুষের জনজীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে।

স্থানীয় কয়েক জন যুবক বলেন- জনতাবাজার-শাপলাপুর সড়কে পিচ ঢালাইয়োর জন্য ষাইটমারা-জেএমঘাটে জনবসতিহীন অনেক জায়গা থাকলেও সেখানে কাজ না করে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে কাপড়, ক্যমিক্যাল মিশ্রিত মালামাল পুড়িয়ে পুরো এলাকা শব্দ ও বায়ুদূষণ করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও দায়িত্বরতরা। এতে আমাদের ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান- কালো ধোঁয়া দোকানে ঢুকে প্রতিটি পণ্য আবরণ সৃষ্টি হয়েছে এবং কালো ধোঁয়ার দুগন্ধ বের হচ্ছে। রমজানের এ সময়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করতে আমাদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। এসব কাজ চলতে থাকলে আমরা এখানে ব্যবসা করতে পারব না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার বলেন- তারা তাদের কাজের সুবিধার জন্য চালিয়াতলী স্টেশনে কাজ করছে। শাপলাপুর সড়কে অনেক জনবসতিহীন জায়গা থাকতে স্টেশনকে কেন বেচে নিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কোথাও জায়গা নেই বলে প্রশ্নের উত্তর এডিয়ে যান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিচিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে  মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শামীমকে অবগত করলে এলজিইডির কাজ যেহেতু হওয়ায় ইউএনওকে এ বিষয়ে অবগত করতে পরামর্শ দেন।