জে এইচ এম ইউনুস।। লবণের দামে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে মহেশখালী -কুতুবদিয়াসহ লবণ চাষ এলাকায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালের লবণের মৌসুমে লবণের যে দাম তা জীবনে আর কখনও দেখেনি চাষি ও মালিকরা, অতীত ইতিহাসে প্রতি মণ লবণ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকার উপরে কখনো দাম ছিলনা। বর্তমান সরকারর আমলে চলতি মৌসুমে প্রতি মণ ৬০০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে যেমণ হাসি ফুটেছে লবণ চাষিদের মুখে তেমনি জমির লাগিয়ত বাড়ায় খুশিতে আত্মা হারা জমবি মালিকারাও।মৌসুমের শুরুতে চাষিরা ভাবতেও পারেনি যে তারা এভাবে লবণের দাম পাবে।
বাংলাদেশ লবণ চাষি বাঁচাও আন্দোলন মহেশখালীর আহ্বায়ক আলহাজ্ব সাজেদুল করিম জানিয়েছেন আমরা মাননীয় সংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলাম লবণের দাম বাড়ানোর জন্য এবং লবণ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা রেখেছেন।মহেশখালীর বৃহৎ সমাজিক সংগঠন মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জে এইচ এম ইউনুস ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ান জানান দীর্ঘদিন পর মহাজোট সরকারই মহেশখালীর লবণ চাষিদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছে এই জন্য আমরা মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ হতে সরকার প্রধান ও মাননীয় এমপিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
লবণের জমির মালিক, মহেশখালীর ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী জানিয়েছেন আগে আমরা ৪০ শতক তথা ১ কানি জমির লাগিয়ত পেতাম দশ হাজার টাকা বর্তমানে ১ কানি জমির লাগিয়ত পাচ্ছি পঞ্চাশ হাজার টাকা এখন আমরা জমির মালিকরা মহা খুশি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বড়মহেশখালি ফকিরাঘোনা এলাকার বাসিন্দা লবণ চাষি আব্দুল আজিজ বলেন আমরা আগে শুনতাম আওয়ামী লীগ সরকার আসলে লবণের দাম কমে যায় কিন্তু এখন দেখি তার বিপরীত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি দাম পাচ্ছি আমরা লবণ চাষিরা। মহেশখালীর লবণ ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাফর জানান সরকার লবণের দাম বাড়ানোর কারণে আমরা ব্যবসায়িরাও যেমন লাভবান তেমনি চাষিরাও লাভবান পাশাপাশি সরকারও লাভবান কারণ অতীতে বিএনপি সরকার লবণের দাম বাড়ানোর কথা বলেই আমাদের ভোট গুলো আদায় করতো এখন কিন্তু তাদের সেই সুযোগ আর হবেনা।
মহেশখালী -কুতুবদিয়ার অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবীকার মাধ্যম লবণ চাষ তবে মহেশখালীর কিছু মানুষ মিষ্টি পানের চাষেও জীবন জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন তাই কক্সবাজার ২ (মহেশখালী - কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বরাবরই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লবণ ও পানের ন্যায্য মুল্য ধরে রেখে ভোটার বাড়াতে। তিনি আজ তাতে সফল বলে মনে করেছে অনেকে, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে লবণ আমদানি বন্ধ করে চাষিদের কল্পনার বাহিরে লবণের দাম পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।মহেশখালী -কুতুবদিয়ার রাস্তা, ঘাট, চায়ের দোকানসহ সবখানেই এখন লবণের মুল্য নিয়ে আলোচনা। অতীত যারা সরকারের সমালোচনা করতেন তারাও এখন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের প্রসংশা করা শুরু করেছেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে মহেশখালী -কুতুবদিয়ার ভোটের হিসাব নিকাশ।