Advertisement


সুপ্রীম কোর্টে আপীল বিভাগের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হলেন মহেশখালীর সন্তান রাশেদুল হক খোকন


বিশেষ সংবাদদাতা।। সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন মহেশখালীর সন্তান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন। গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ হওয়া আপীল বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জান

আইনজীবী পেশায় আপীল বিভাগে সংযুক্ত হওয়াটাকে এ পেশায় সর্বোচ্চ অবস্থান হিসেবে ধরা হয়। এ সংযুক্তির ফলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে আইনপেশা চর্চার অনুমোদন পেলেন তিনি।

জানা গেছে- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বোরহান উদ্দিন, এম. ইনায়েতুর রহিম, মোঃ আশফাকুল ইসলাম, মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী ও জাহাঙ্গীর হোসেন এর সমন্বয়ে এনরোলমেন্ট কমিটির গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় প্রত্যেক সদস্যের স্বতন্ত্র মতামতের ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবীকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের এডভোকেট হিসেবে তালিকাভূক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আইনজীবীদের ওই তালিকায় রয়েছে মহেশখালীর সন্তান রাশেদুল হক খোকন এর নাম।

রাশেদুল হক খোকন বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনার সন্তান। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন আলোচিত মামলা পরিচালনা করে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক বিধি-বিধান প্রণয়নে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের চাকরি সংক্রান্ত, সোনালী ব্যাংক জনতা ব্যাংক রূপালী ব্যাংক নিয়োগ সংক্রান্ত, পরিবেশ রক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন বিষয়ে রিট এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করেন তিনি।

রাশেদুল হক খোকন ১৯৯৮ সালে মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল হতে এসএসসি এবং ২০০০ সালে মহেশখালী কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করে ডিফেন্সের জন্য অপেক্ষমাণ। ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়ন শেষ করে ২০০৮ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। অদ্যবধি তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত। পেশাগত জীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেন তিনি।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী রীমা খাতুন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে কর্মরত আছেন এবং একমাত্র ছেলে রাইদ হক সাম্য মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।   

তার বাবা একরামুল হক একজন ব্যবসায়ী এবং মা নুরুন্নাহার বেগম গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সকলের বড়। তার ছোট ভাই এমরানুল হক জনি পেশায় ব্যাংকার এবং তৌফিকুল হক সম্রাট প্রকৌশলী হিসেবে ইউএনডিপিতে কর্মরত। একমাত্র বোন আফরিনা হক অনামিকা স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার শ্বশুর সাদিকুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি আয়েশা খাতুন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর একমাত্র ভাই গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।

আইনজীবী পেশায় আপীল বিভাগে সংযুক্ত হওয়াটাকে এ পেশায় সর্বোচ্চ অবস্থান হিসেবে ধরা হয়। এ সংযুক্তির ফলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে আইনপেশা চর্চার অনুমোদন পেলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- সাম্য ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইন ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে তিনি নিজেকে নিবেদিত করতে চান। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী।